বুধবার দুপুরই হঠাৎই নবান্নে হাজির হয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। গাড়ি থেকে নেমেই সোজা চলে গিয়েছিলেন ১৪ তলায়। কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাঁদের এই উপস্থিত ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল জল্পনা। আর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে শোভন চ্যাটার্জি এবং বৈশাখী ব্যানার্জি সাংবাদিকদের যা বললেন, তাতে কার্যত পরিষ্কার তাঁদের তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এদিন নবান্ন থেকে বেরোতেই সাংবাদিকরা তাঁদের ছেঁকে ধরে। সেখানেই বৈশাখী ব্যানার্জি জানান, “এতদিন যে অভিমানের প্রাচীর ছিল, তা ভেঙে গিয়েছে। দিদি সেদিন বলবেন শোভন সেদিনই কাজে যোগ দেবেন।” আর শোভন চ্যাটার্জির মন্তব্য, আমার রাজনৈতিক জীবন এবং অন্য সবকিছুই মমতা কেন্দ্রিক।”
এদিন সোয়া তিনটে নাগাদ আচমকাই নবান্নের ভিআইপি প্রবেশ পথে সাদা গাড়ি থেকে শোভন-বৈশাখীকে নামতে দেখা যায়। জানা যায়, মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতেই তাঁরা এসেছেন। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল তৈরি হয়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হল দু’জনের তা নিয়ে। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বলেন, “ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে হলে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গা থেকে। কিন্তু ছোট থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মমতাদির চিন্তা-ভাবনা, তাঁর কথা বাস্তবায়িত করাকেই কর্তব্য বলে মনে করেছি আমি। আমার রাজনৈতিক জীবন এবং অন্য সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রিক।” তাহলে কি তিনি তৃণমূলে ফিরছেন? ফের একবার সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যাবে? উত্তরে শোভন চ্যাটার্জির ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে কেউ তো অরাজনৈতিক নেই, সক্রিয়-নিস্ক্রিয়, এ সব নিয়ে আপনাদের এবং আমার ধারণা আলাদা।”
যাঁকে কেন্দ্র করে এতকিছুর সূত্রপাত বলে মনে করা হয়, সেই বৈশাখী ব্যানার্জি এদিন বলেন, “মমতাদির সঙ্গে চিরকালের সম্পর্ক শোভনের। মাঝে অভিমানের প্রাচীর তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা ভেঙে গিয়েছে। ওঁর প্রতি মমতাদির স্নেহ আগেও দেখেছি। মন থেকে কোনও দিন দূরে করতে পারেননি। শোভনেরও মন জুড়ে দিদি। উনি বললেই শোভন কাজে দেবেন”
Comments are closed.