সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলেন মণিপুরের সামাজিক কর্মী ইরেন্দ্রো লেইচম্বম। করোনা সংক্রমিত হয়ে বিজেপি নেতার মৃত্যু নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন তিনি। ১৩ জুলাই NSA আইনের আওতায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিকেল ৫ টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে তাঁকে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমিত হয়ে মণিপুরের বিজেপি নেতা এস টিকেন্দ্র সিংহের মৃত্যু হয়। এরপরেই বছর ৪০ এর সমাজকর্মী ইরেন্দ্রো লেইচম্বম ফেসবুকে লেখেন, ‘করোনা নিরাময়ে গোবর ও গো মূত্র কাজ করে না, কাজ করে বিজ্ঞান’। এরপরেই তিনি লেখেন ‘রেস্ট ইন পিস প্রোফেসর জি’।
এহেন ফেসবুক পোস্টের জন্য ১৩ মে ইরেনড্রোকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী লেখক লিখেছিলেন, করোনার নিরাময়ে গোবর ও গো মূত্র নয়। নিরাময় বিজ্ঞান এবং সাধারণ জ্ঞান। অধ্যাপক জি আরআইপি। রাজ্য বিজেপির সহ-রাষ্ট্রপতি উশাম দেবেন সিংহ অভিযোগ দায়ের করেন ইরেন্দ্রোর বিরুদ্ধে। ইরেন্দ্রোর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন তার পোস্টের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা হয়েছে বিজেপি সদস্য এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয় ইরেন্দ্রোকে।
ইরেন্দ্রোর বাবা রঘুমনি সিংহ আদালতে পিটিশন দাখিল করে বলেন, জাতীয় সুরক্ষা আইনের অপব্যবহার করে তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু বিজেপি নেতা কোভিড নিরাময়ে গো মূত্র ব্যবহারের মত ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ভুল তথ্যের জেরে সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি কমানোর জন্যই ইরেন্দ্রো ওই পোস্ট করেছিলেন।
এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলায় কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। কোভিডের কারণে বিজেপি নেতার মৃত্যুর পর ফেসবুক পোস্ট করায় ইরেন্দ্রোর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাংবাদিক কিশোরচন্দ্র ওয়াংখেমকে।
Comments are closed.