সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির দায়ের করা মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। নিজের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছেন সাংবাদিক বিনোদ দুয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিম বিরোধী বলে মিথ্যে বার্তা প্রচারের চেষ্টা করেছেন, এমনই সব অভিযোগ করে সাংবাদিক দুয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপির দিল্লি ইউনিটের মুখপাত্র নবীণ কুমার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহেই এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভম্ভানির সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, অভিযোগ দায়ের ও এফআইআর জমা দিতে কেন তিন মাস সময় লাগল, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সাংবাদিক দুয়ার ভিডিওর মাধ্যমে কোনওরকম হিংসার ঘটনা ঘটেছে এমন কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়ার সময় আদালত জানায়, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ফের তদন্তের মাধ্যমে সাংবাদিক দুয়া অযৌক্তিক হয়রানির মুখোমুখি হতে পারেন। এর পরেই আগামী ২৩ শে জুলাই পর্যন্ত এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট মামলায় নির্দেশ দেওয়ার পরদিন, বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, বিচারপতি অনুপ জে ভম্ভানি বলেন, বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে ফের তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের এবং এফআইআর দাখিল করার বিষয়ের বিবেচনা করার প্রয়োজন। এই নিয়ে দিল্লি পুলিশের প্রতিক্রিয়া চেয়ে একটি নোটিসও জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
সাংবাদিক বিনোদ দুয়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দিল্লি হিংসার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ভুল প্রচার করছেন। ভিডিওতে তাঁর মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানি রয়েছে, যা করোনা সংকটকালে ধর্মীয় বিভাজন ছড়াচ্ছে, দিল্লি পুলিশের কাছে এমনই সব অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা নবীণ কুমার।
বুধবার এই মামলা দায়ের করার সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্ত সাংবাদিকের আইনজীবী। তিনি বলেন, কোনও সাধারণ মানুষ নন, এই অভিযোগ এনেছেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতা। কিন্তু দিল্লি হিংসার ঘটনার প্রায় ৭০ দিন পরে কেন এই মামলা করা হল? আদালতও এই বিষয়টিকে মান্যতা দিয়ে জানায়, সেই ব্যাখ্যা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক দুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি মুলতুবি থাকছে।
Comments are closed.