ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের আঁচ এবার এসে পড়ল বঙ্গ বিজেপির ওপরেও। মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট থেকে প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ডায়না হেডেনের গায়ের রং কিংবা বেকার ছেলে-মেয়েদের পান বিক্রির পরমর্শ-যা নিয়েই বিপ্লব দেব মন্তব্য করেছেন, অস্বস্তিতে পড়েছে ত্রিপুরা বিজেপি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে ২৫ বৈশাখ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তাতে বিড়ম্বনা চেপে রাখতে পারছেন না পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা
প্রশ্নঃ মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট থেকে পানের দোকান তাও ঠিক ছিল। কিন্তু বিপ্লব দেব তো রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের ইস্যু নিয়ে বাংলায় ঢুকে পড়লেন…
শমীক ভট্টাচার্যঃ রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যদি মুখ ফস্কে না বলে থাকেন, তবে এটা দুর্ভাগ্যের। বিপ্লব দেব এখন একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এটা সচেতনভাবে মনে রেখেই তাঁর আগামী দিনে কোনও ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত। বাঙালি মনন এবং রবীন্দ্র ভাবনা প্রায় সমার্থক। তাই এ’ব্যাপারে কেউ ভুল তথ্য বললে দলীয় কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়। তাছাড়া জনমনেও দলের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ওনার এই ভুল ইচ্ছাকৃত নয়।
প্রশ্নঃ আপনারা কথায়-কথায় এ’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। পাশের রাজ্যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী তো বেকার ছেলে-মেয়েদের পানের দোকান দিতে বলছেন। বিজেপির কর্মসংস্থানের মডেল কি পানের দোকান?
শমীক ভট্টাচার্যঃ পানের দোকান দেওয়া কোনও অসম্মানজনক পেশা নয়। তবে ত্রিপুরায় সিপিএম আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে, কর্মসংস্থানে বন্ধ্যা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রচারে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাই সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, এই সব কথা না বলে কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রীর কাজ হল কর্মসংস্থান তৈরি করা।
প্রশ্নঃ বাংলায় বিজেপিই এই মুহুর্তে তৃণমূলের বিকল্প বলে আপনারা দাবি করছেন। সেখানে পাশের রাজ্যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীর দু’মাসের মধ্যে যা সব মন্তব্য, আপনাদের অস্বস্তি হচ্ছে না?
শমীক ভট্টাচার্যঃ বিপ্লব দেবের এই ধরনের মন্তব্য বাংলায় বিজেপির পক্ষে সামান্য অস্বস্তির তো বটেই। তবে উনি নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওনাকে আরও সময় দেওয়া উচিত। সময় পেলে উনিও অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের মতো অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।