মেয়ে শীনা বোরাকে খুন করার অভিযোগে ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি। এবার জেলে বসেই মেয়ে জীবিত রয়েছেন বলে দাবি তুললেন ইন্দ্রাণী।
সিবিআইকে চিঠিতে ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরে শিনাকে খুঁজে দেখার জন্য। তিনি দাবি করেছেন, সম্প্রতি জেলে এক মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। সেই মহিলা তাঁকে জানিয়েছেন কাশ্মীরে শীনার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। ওই মহিলার দাবিকেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ইন্দ্রাণী।
মেয়ে শীনা বোরাকে খুন করার অভিযোগে ২০১৫ সাল থেকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী। গত মাসেই বম্বে হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে। জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টে যেতে চাইছেন ইন্দ্রাণী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে নিখোঁজ হয়ে যান শীনা। ওই বছরেই মে মাসে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের পেন অঞ্চল থেকে উদ্ধার হয় বাক্সবন্দি একটি পোড়া দেহ। জানা যায়, ওই দেহটি শীনা বোরার। খুন করার পর শীনার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় ওই জঙ্গলে। খুনের তিন বছর পর ২০১৫ সালে এই খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় নেয়। জানা যায়, শীনাকে হত্যা করেছে তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি। ইন্দ্রাণীর গাড়িচালক শ্যামবর রাই গ্রেফতার হওয়ার পর জানান, শীনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন ইন্দ্রাণী। গুয়াহাটিতে শীনা এবং তাঁর ভাই মিখাইলকে ছেড়ে ইন্দ্রাণী মুম্বইয়ে চলে যান এবং পিটার মুখার্জিকে বিয়ে করেন। শীনা মুম্বইয়ে এলে তাঁর পরিচিতদের কাছে শীনাকে নিজের বোন বলে পরিচয় দেন ইন্দ্রাণী। এরমধ্যেই শীনার সঙ্গে পিটারের ছেলে রাহুলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শীনা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর রাহুলকে জানানো হয় পড়াশোনার জন্য বিদেশে গিয়েছেন শীনা। ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ে ইন্দ্রাণীর প্রথম পক্ষের স্বামী সঞ্জীব খান্নার। পিটার, ইন্দ্রাণীর প্রথম পক্ষের স্বামী ও শ্যাম রাইকএ গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ২০২০ সালে জামিন পেয়ে যান পিটার মুখার্জি।
Comments are closed.