বড় হওয়ার পর মুখ ও রংবেরঙের মুখোশের পার্থক্য বুঝতে শিখেছেন শ্রীমা, কেন এই উপলব্ধি?

করোনার আবহ শুরু হওয়ার পর থেকে মানুষের মধ্যে জীবনের মূল্যবোধ অনেকটাই বেড়ে গেছে। একান্তে সময় কাঁটাতে গিয়ে বেশ কিছু উপলব্ধি নতুন করে মনে জায়গা করে নিয়েছে। একই ভাবে জীবনের উপলব্ধির কথা স্যোশাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে নিলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য।

লকডাউনে গৃহবন্দি। নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য। কিছুদিন আগেই করোনা মুক্ত হয়েছেন সপরিবারে। বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। আর এই একান্তবাসে তাঁর নতুন উপলব্ধি ‘রংবেরঙের মুখোশ’।

শনিবার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতিকালের একটি ছবি শেয়ার, যার ক্যাপশনে লিখেছেন শৈশবের স্মৃতিনামা। শ্রীমা লিখছেন, ‘ছোটোবেলায় মা বাপির সাথে মেলায় গেলে চোখ নিজের অজান্তে চলে যেত রংবেরঙের মুখোশের দিকে। আবার কখনো নিঝুম দুপুরে ফেরিওয়ালা আসতো বাড়ির সামনে বিক্রি করতো হরেক রকমের জিনিস, সাথে মুখোশ ও।’

শ্রীমার শিশু মন ভাবতাম কত ভালো এই মুখোশ, কত রুপে সাজা যায়। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখোশের মানে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে তাঁর কাছে। কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ, সেটা এখন বোঝা যায় না বলে মনে হয়েছে তাঁর। তিনি বুঝেছেন, মিষ্টি কথার মুখোশ পরে যাঁরা আসেন, তাঁদের কোনও না কোনও স্বার্থ থাকে। আর মুখোশ ছাড়া যে মানুষ জীবনে থাকবে, তার থেকেই আসল ভালবাসা পাওয়া যায়।

 

কিন্তু প্রেম-ভালবাসার সঙ্গে রংবেরঙের মুখোশের কী সম্পর্ক? কেন মুখোশের স্মৃতিচারণ? টলিপাড়ার গুঞ্জন গৌরব রায়চৌধুরীর সঙ্গে শ্রীমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সে সম্পর্ক এখন আর নেই বলেই খবর। আপাতত শ্রীমা সিঙ্গল। তবে কি তাঁর এই উপলব্ধি বিশেষ কারুর প্রতি! সরাসরি এর উত্তর দেননি অভিনেত্রী।

‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ধারাবাহিকে শেষ কাজ করেছেন শ্রীমা। লকডাউনের আগে টেলিভিশনের একটি অফার ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ওই চরিত্রের জন্য তিনি প্রস্তুত নয়। তাই অফার অ্যাকসেপ্ট করেননি। একটা ওয়েবের কথা হয়ে রয়েছে। আউটডোর শুটিং। তাই লকডাউন না মিটলে শুরু হবে না।

Comments are closed.