মুকুল-কৌশানি দ্বৈরথে উজ্জ্বল তরুণ মুখ সিলভী, কংগ্রেস প্রার্থী বলছেন কৃষ্ণনগর নিজের মেয়েকেই চায়!
সিলভিয়ার বাবা ছিলেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, ঠাকুরদা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী
প্রায় দু’দশক পর একসময়ের তৃণমূলের নাম্বার টু, বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় ভোটের ময়দানে। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তিনি। উল্টোদিকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানি মুখার্জি। দুই হেভিওয়েটের বিপরীতে কংগ্রেসের আস্থা তরুণ মুখে। কৃষ্ণনগর উত্তরে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী সিলভী সাহা।
মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন, ব্যস্ততা তুঙ্গে। তারই মাঝে কথা বললেন TheBengalStory র সঙ্গে।
উল্টোদিকে রাজ্য রাজনীতিতে চানক্য বলে পরিচিত মুকুল রায় প্রার্থী, কী বলবেন? পেশায় শিক্ষিকা কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মবিশ্বাসী জবাব, দেখুন আমি কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মেয়ে। আমার জন্ম, বড় হয়ে ওঠা সবই কৃষ্ণনগরে। এর আগে ১০ বছর মানুষ বহিরাগত প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়ে বুঝেছেন। সিলভী বিশ্বাস করেন, এবার মানুষ আর সেই ভুল করবেন না।
এডুকেশন, জিওগ্রাফিতে মাস্টার্স। কৃষ্ণনগর গার্লস কলেজে কিছুদিনের জন্য অধ্যাপনা, পরবর্তীকালে স্থায়ীভাবে স্কুলে শিক্ষকতা। নিশ্চিন্ত জীবনের মায়া কাটিয়ে তেঁতে ওঠা রাজনীতির ময়দানে কেন?
কংগ্রেসের তরুণ প্রার্থীর উত্তর, দেখুন বিগত দশ বছর রাজ্য এক ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। সেই সঙ্গে জানালেন, তিনি রাজনীতিতে আসেননি, বরাবর রাজনীতিতেই ছিলেন।
সিলভীর বাবা ছিলেন, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, ঠাকুরদা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। কংগ্রেসী পরিমণ্ডলে বড় হয়েছেন, ২০১৬ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে ছিল, সেখানে ২০১৯ এ কৃষ্ণনগর লোকসভায় কংগ্রেসের ভোট ২%, খারাপ লাগে না? সিলভীর কটাক্ষ, দেখুন ২০১৯ এ কী হয়েছিল সবাই জানে, মিথ্যে জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে বিজেপি ভোট পেয়েছিল। তবে এবার পরিস্থিতি আলাদা।
[আরও পড়ুন- বিমান বসুকে পাশে নিয়ে নন্দীগ্রামে শেষ বেলার প্রচারে মীনাক্ষীর লাল ঝড়]
কংগ্রেসের সিলভী পরিষ্কার জানালেন, বাংলায় মানুষের হাতে কাজ নেই, পেটে ভাত নেই। এই বিষয়টি এবারের নির্বাচনের মূল ইস্যু। আর কোনও কিছু নিয়ে রাজনীতি হতে পারে না। ন্যূনতম চাহিদাগুলো থেকে মানুষের নজর সরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি।
দলবদল নিয়েও এদিন প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করেন সিলভী। ভোট প্রচারে গিয়ে মানুষকে কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন? মুচকি হেসে জানালেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিতে বিশ্বাসী নই। কাজ করতে চাই। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ভোটটা কাকে দেবেন। আর আমাদের ইশতেহারে তো বাকিটা আছেই।
অবসর কাটে বই পড়ে। সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটানো। বাংলার সবথেকে বড় গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে খাতায় কলমে অংশগ্রহণ করবার আগের মুহুর্তে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেসের তরুণ মুখ সিলভী জানান, কৃষ্ণনগরের মানুষ তাঁদের ঘরের মেয়েকেই চায়, একশো শতাংশ ভরসা রাখুন আমি জিতছি।
Comments are closed.