এই ব্যস্তময় জীবনে সব সময় চলছে লড়াই। আর এই করোনা পরিস্থিতিতে তো জীবনের সঙ্গেই চলছে লড়াই। সব সময় কেবল কাজ। এত কাজের মাঝে ক্লান্তি আসে দেহে ও শরীরে। আর এই ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন ম্যাসাজ থেরাপির সাহায্য নিয়ে থাকেন। এরকমই এক থেরাপি হোল কাপিং থেরাপি (Cupping therapy)। এই থেরাপিতে গরম কাচের শিশি পিঠের মধ্যে আটকে দেওয়া হয়। তবে শুনে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এই থেরাপিতে পিঠ পুড়ে যায় না। বরং গরম শিশির তাপে শরীরের পেশীগুলি হয়ে ওঠে তরতাজা।
সম্প্রতি বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ও মিউজিক প্রডিউসার জুবিন গর্গ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার করেন একটি ছবি। যেখানে কাপিং থেরাপি করতে দেখা যায় তাঁকে। তার পিঠে লাগানো অনেকগুলি ছোট ছোট কাপ। এই গাছগুলির তাপে গোল গোল দাগ বসে গিয়েছে তাঁর পিঠের উপর। তিব্বতের পাল্টান বাজার হোটেলে গিয়ে এই থেরাপি করালেন তিনি। নিজের ফ্যানদের উদ্দেশ্যে বললেন যাতে তারাও এখানে এসে এই থেরাপিটি করে।
View this post on Instagram
৩০০০ বছরেরও বেশি পুরনো এই থেরাপি। ১৫৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ইজিপ্টে এই থেরাপির চর্চা করা হতো। সেই সময়ে মাটির ভাঁড় গরম করে পিঠে বসিয়ে দেওয়া হতো। তাদের ভাষায় এই থেরাপির নাম ‘হিজামা’। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক পদার্থ দূর করতে ব্যবহার করা হয় এই হিজামা থেরাপি বা কাপিং থেরাপি। সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই থেরাপি। পেশীর ব্যথা দূর করার জন্যও বহু ফিজিওথেরাপিস্টরা এই থেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এশিয়া মহাদেশের বেশ জনপ্রিয় এটি।
Comments are closed.