জেএনইউতে তাণ্ডবের তীব্র নিন্দায় নির্মলা সীতারমন ও জয়শঙ্কর, চাপে পড়ে দুরত্ব বজায় বিজেপির

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের উপর আক্রমণে বিজেপির শাখা সংগঠন এবিভিপি-র দিকে আঙুল উঠলেও ঘটনা থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে যেমন রবিবার এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়েছে তেমনি জেএনইউ-তে হিংসার কড়া তীব্র সমালোচনা করলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী নির্মলা সীতারমন ও এস জয়শঙ্কর।
রবিবার রাত ৮ টা ৩ মিনিটে এক ট্যুইটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লেখেন, জেএনইউ-র এই ছবি আতঙ্কিত করেছে। যে জেএনইউ-কে আমি চিনি তা হল তীব্র বিতর্ক এবং মতামত রাখার জায়গা, হিংসার নয়। দ্ব্যর্থহীনভাবে এই ঘটনার নিন্দা করছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যাই বলা হয়ে থাক না কেন, সরকার চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় থাকুক।


জেএনইউ-র আর এক প্রাক্তনী তথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রবিবার রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে ট্যুইটারে লেখেন, জেএনইউ-তে কী ঘটছে তার ছবি দেখলাম। এই হিংসার ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বিরোধী এই ঘটনা।

এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করছে, এনআরসি ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার হওয়ায় জেএনইউ-র পড়ুয়াদের উপর এই বর্বরোচিত আক্রমণ। এখন এবিভিপি-কে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও কারও কারও অভিযোগ। এবিভিপি-র পাল্টা অভিযোগ, বামেরাই পরিকল্পনা করে এই আক্রমণ ঘটিয়েছে। তাদের ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন এবং ১১ জন নিখোঁজ বলে অভিযোগ করেছে এবিভিপি।
দিল্লির বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি জেএনইউ-র ঘটনার নিন্দা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জেএনইউর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বাইজালকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, উপাচার্য প্রমুখকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসে।
রবিবারের ঘটনায় যে ৩৪ জন পড়ুয়া আহত হয়ে এইমসে ভর্তি হন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। উত্তর বসন্তকুঞ্জ থানায় রবিবারের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

Comments are closed.