ময়নাতদন্তে বুকে-পিঠে গুলির প্রমাণ! শীতলকুচিতে প্রশ্নে বাহিনীর আত্মরক্ষার তত্ত্ব
নিহত চারজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোথাও তাঁদের কোমরের নিচে গুলির তথ্য মেলেনি
শীতলকুচি কাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ঘিরে ফের রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেখানে এমন কিছু তথ্য উঠে এসেছে যা থেকে পরিষ্কার, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে সাধারণ ভোটারদের উপর দাবি তৃণমূলের।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত হামিদুল মিঞাকে পেছন থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান হামিদুল হয়তো ছুটে পালাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁকে মাঝারি রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়।
দ্বিতীয় সামিউল মিঞা, তাঁর বুকে বুলেটের স্প্লিন্টার পাওয়া গিয়েছে। সামিউলের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
তৃতীয় ব্যক্তি মনিরুজ্জামান মিঞা, তাঁকেও মাঝারি রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি, গুলির আঘাতে মনিরুজ্জামানের বুকের পাঁজর ভেঙে যায়।
চতুর্থ মৃত গ্রামবাসী নূর আলম মিঞাকেও বেশ কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
নিহত চারজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোথাও তাঁদের কোমরের নিচে গুলির তথ্য মেলেনি। সাধারণত, আত্মরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাতে পারে, তবে তা শুধুমাত্র আক্রমণকারীকে আঘাত করার জন্য কোমরের নিচে পা লক্ষ্য করে, প্রাণে মারা কখনই উদ্দেশ্য হতে পারে না। কিন্তু শীতলকুচির ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিদর্শন দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, দাবি তৃণমূলের।
আর এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমাদের দল আগেই বলেছিল, এটি পরিকল্পিত গণহত্যা। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তা আরেকবার প্রমাণিত হল।
[আরও পড়ুন- করোনার থাবা দিল্লির নির্বাচন সদনে, সংক্রমিত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার]
অন্যদিকে শীতলকুচির ঘটনার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্টই সব নয়। আগে মমতা ব্যানার্জিকে বলতে হবে তিনি কেন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রীর উস্কানিতেই কী গ্রামবাসীরা বুথে হামলা চালিয়েছিল?
কিন্তু গ্রামবাসীরা বুথে হামলা চালিয়েছিলেন এমন কোনও তথ্য কি তদন্তকারীরা পেয়েছেন? তার উত্তর দেয়নি বিজেপি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টকেও খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির।
Comments are closed.