স্মার্ট ফোনের যুগে বাস করছি আমরা। কিন্তু দিনের শেষে হাজার ফিচার্স বিশিষ্ট একলাখি স্মার্টফোন থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না যদি ফোনে চার্জ না থাকে। আজকের স্মার্টযুগে তাই ফোনের হাজার কারিকুরি সত্ত্বেও চার্জার বিনা গোটাটাই অচল। এই পরিস্থিতিতে যদি শোনেন এবার থেকে মোবাইল কিনলে চার্জার পাবেন না, কেমন লাগবে?
সম্প্রতি এমনটাই শোনা যাচ্ছে প্রযুক্তি মহলে! জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইতিমধ্যেই এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। সম্ভবত আগামী বছর থেকে স্যাংসাং ফোন কিনলে তাতে চার্জার থাকবে না। স্মার্টফোনের হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার বাজারে এভাবে কি দাম কমানোর চেষ্টা করছে স্যামসাং?
কিছুদিন আগেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল অ্যাপল সংক্রান্ত একটি খবরে। তাতে দাবি করা হয়েছিল অ্যাপলের আই ফোন ১২ এর বাক্সে চার্জার থাকবে না। হেডফোনও দেওয়া হবে না। যদিও সংস্থার তরফে এখনও এমন কিছু জানানো হয়নি আবার খবরের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেনি অ্যাপল।
সংস্থাগুলোর দাবি, ফোন কিনলে এখন চার্জার দেওয়ার কোনও উপযোগিতা নেই। প্রত্যেকের কাছেই থাকে এক বা একাধিক চার্জার। তাছাড়া বাজারে কিনতেও পাওয়া যায় ঢের। এই পরিস্থিতিতে চার্জার দেওয়ার অর্থ অকারণে কিছুটা দাম বেড়ে যাওয়া।
চাইনিজ ফোনের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে স্মার্টফোনের বাজারে এখন তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতা। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলার বান্দা নন। এই অবস্থায় ফোনের দাম যতটা সম্ভব কম রাখতে হেডফোন বা চার্জারের উপর কোপ পড়তে চলেছে মনে করা হচ্ছে। অ্যাপল ও স্যামসাং যদি চার্জার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাজারের বাকিদের তা অনুসরণ করা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, বলছেন মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত লোকেরা।
এখন বিভিন্ন সংস্থার স্মার্টফোনের সঙ্গে হেডফোন দেওয়া হয় না। এরপর চার্জারও দেওয়া হবে না বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাতে ফোনের দাম কতটা কমবে? স্যামসাংয়ের নিজস্ব সমীক্ষা জানাচ্ছে, এতে খরচ বাঁচবে সামান্যই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের বাজারে টিকে থাকতে তাই বা কম কি, বলছেন মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির একাংশ।
Comments are closed.