তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মামলায় নেট-নজরদারি থেকে পিছু হটল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ‘বিরাট জয়’ হিসেবে বর্ণনা করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ (Mahua Moitra)।
নেট-দুনিয়ায় কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের নজরদারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। সংশ্লিষ্ট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। কিন্তু এরপর, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আধার কর্তৃপক্ষ ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং এজেন্সি’ তৈরির জন্য দরপত্রের আহ্বান করে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে এই রকম কোনও দরপত্রের আহ্বান করা হবে না বলে শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে আধার কর্তৃপক্ষ।
তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়ায় আধার নজরদারি নিয়ে যুক্তি দিয়েছিল, আধার নিয়ে নেট দুনিয়ায় কী ধরনের আলোচনা হয়, তাদের অভাব-অভিযোগ বোঝার জন্য ‘সোশ্যাল মিডিয়া হাব’ তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। এদিকে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) তাঁর মামলায় অভিযোগ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আধার কর্তৃপক্ষের নজরদারি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আধারের বৈধতা নিয়ে মামলায় ইউআইডিএআই (আধার কর্তৃপক্ষ) ঠিক উল্টো যুক্তি খাড়া করেছিল। বলেছিল, তারা নেট নজরদারির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, যদি ট্যুইট বা হোয়াটস অ্যাপে নজরদারি করা শুরু হয় তাহলে আমরা কি নজরদার রাষ্ট্র তৈরির দিকে এগোচ্ছি? আদালতের রায়ের আগেই অবশ্য সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। সেই প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবার মহুয়া মৈত্র বলেন, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক নেট নজরদারি থেকে পিছু হটলেও আধার কর্তৃপক্ষ ঘুরিয়ে নেট নজরদারি করতে চাইছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ইউআইডিএআই জানায়, ওই দরপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন করে আর দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা নেই আধার কর্তৃপক্ষের। মহুয়া মৈত্রের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউলের বেঞ্চে সওয়াল করেন, আধার কর্তৃপক্ষের তরফে এই বয়ান রেকর্ড করে রাখা হোক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আধার কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এই জয় প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, মানুষের উপর বেআইনি নজরদারি আটকাতে পেরে তিনি খুশি।
Comments are closed.