শুক্রবার জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ। বৃহস্পতিবার ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে এনআইএ আদালত। তবে জামিনের জন্য শর্ত অনুযায়ী, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি মুম্বই ছাড়তে পারবেন না। আইনজীবী হিসেবে তিনি কাজ করেন ছত্তীসগঢ়ে। সেখানেও যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও কোনও জমায়েতে যোগ দিতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি প্রতি ১৪দিন অন্তর তাঁকে স্বশরীরে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে হবে।
ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁওতে দলিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছিল অশান্তি। দক্ষিণপন্থী একটি গোষ্ঠী এবং দলিতদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অভিযোগ, এর পিছনে মদত ছিল মাওবাদীদের।
উল্লেখ্য, ২০১ বছর আগে ভীমা কোরেগাঁও অঞ্চলে দলিতদের বাহিনী উচ্চবর্ণের পেশোয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে। দলিতদের সঙ্গে ছিল ব্রিটিশরা। সেই যুদ্ধে জয়ী হিসেবে ‘জয়স্তম্ভ’ নামে একটি স্মারক আছে ভীমা কোরেগাঁওতে। তাকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর জমায়েত হয়। ২০১৮ সালের ১ এবং ২ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় দলিত-মরাঠা সংঘর্ষ হয়।
তদন্তে নেমে সমাজকর্মী গৌতম নওলখা, ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, রোনা উইলসন, ভারনন গঞ্জালভেস ও সুধা ভরদ্বাজ-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চক্রান্তে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
এই মামলায় অভিযুক্ত সুধীর দাওয়ালে, ভারভারা রাও, রোনা উইলসন, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, সোমা সেন, মহেশ রাওয়াত, ভারনোন গঞ্জালভিস এবং অরুণ ফেরেরা জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করলেও তাঁদের আবেদন আদালত খারিজ হয়ে যায়।
Comments are closed.