স্বামী টিকিট পেয়েছেন, প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও পরে বাদ পড়েছে, ক্ষোভে ডিভোর্সের পথে স্ত্রী
ভোট বড় বালাই। পুর নির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে পুরসভার একটি ঘটনা নতুন মাত্রা দিল রাজ্যের পুর-যুদ্ধকে। স্বামী টিকিট পেয়েছেন, অথচ প্রথম তালিকায় স্ত্রীর নাম থাকলেও দ্বিতীয় তালিকায় নাম বাদ দিয়েছে তৃণমূল। আর তাতেই স্বামীর সঙ্গে চরমে উঠেছে অশান্তি। ক্ষোভে বাড়ি ছেড়েছেন স্ত্রী। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি গড়িয়েছে ডিভোর্স পর্যন্ত।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রথমে প্রার্থী করেছিল রীতা রায় চৌধুরীকে। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে বিভ্রাটের জেরে তৃণমূল যে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে, তাতে নাম বাদ পড়ে রীতা রায়চৌধুরীর। অন্যদিকে পাশের ওয়ার্ড ১০ নম্বর থেকে রীতার স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর স্বামীর টিকিট পাওয়ার পর থেকেই অশান্তি চরমে উঠেছে। রীতার জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে টুম্পা দাসকে। এদিকে দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রীতা।
জানা গিয়েছে রায়চৌধুরী দম্পতির ‘গৃহ যুদ্ধ’ এমন পর্যায় পৌঁছেছে সুরজিৎ আইনজীবীর মাধ্যমে রীতাকে বিবাহ বিচ্ছিদের নোটিস পাঠিয়েছেন। এলাকায় দীর্ঘ দিনের তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত সুরজিৎ। ২০১৫ সাল থেকে তিনি দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর নাম বাদ পড়ার পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়েছে। আমাদের ৩১ বছরের বিবাহ জীবন। একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। রাজনীতি করছি ৪৫ বছর ধরে। অনেক অশান্তির পর সিদ্ধান্ত নিই দলই আমার কাছে আগে। এই নিয়ে এখনও রীতা রায়চৌধুরী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Comments are closed.