বন্ধুর নাম ত্রিপুরা। বাংলাভাষী ত্রিপুরায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছে এই সংগঠন। অনেকেই বলছেন, মুখোশের আড়ালে এর মধ্যে দিয়েই ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী জল মাপছেন মুকুল রায়। বন্ধুর নাম ত্রিপুরার নেতৃত্বে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ, ঘোষিত ভাবে মুকুলপন্থী।
ত্রিপুরায় মুকুলের হাত ধরেই ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায়বর্মণ। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ছোট্ট রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার। ক্ষমতার দিক থেকে মন্ত্রিসভার নম্বর টু হন মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপ। কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দেবের সঙ্গে মতবিরোধ হতে থাকে সুদীপের। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বিজেপির দিল্লির নেতৃত্বের নির্দেশে মন্ত্রী পদ হারান সুদীপ রায়বর্মণ।
তারপর বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর করোনা আবহে আবার সক্রিয় হয়েছেন সুদীপ। বন্ধুর নাম ত্রিপুরা এবং বন্ধুর নাম সুদীপ নামে একাধিক সংগঠন তৈরি করে কাজ করছেন সুদীপ রায়বর্মণ। করোনা মোকাবিলায় বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও মুখ খুলছেন ত্রিপুরায় একদা দুই নম্বর সুদীপ রায়বর্মণ। এরমধ্যেই তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। সেই খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসেছেন সুদীপ রায়বর্মণ। নেতার ঘর ওয়াপসি নিয়ে সুদীপের প্রতিক্রিয়া, মুকুল দা ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি কি তৃণমূলে ফিরছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে একদা ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্যতম নেতা সুদীপের ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, কাল কী হবে কে বলতে পারে?
এরপরই নতুন করে জল্পনার শীর্ষে সুদীপের বন্ধুর না ত্রিপুরা সংগঠন। এই সংগঠনের মধ্যে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন সুদীপ রায়বর্মণ। কারণটা সহজবোধ্য, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাদের একটি অংশের দাবি, মুকুলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন সুদীপ রায়বর্মণ। পেলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপুরায় পুনঃআত্মপ্রকাশ করবে তৃণমূল।
Comments are closed.