বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর দুবাইয়ের হোটেলে মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত খুন এবং এর পেছনে হাত রয়েছে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের। এমনটাই দাবি করেছেন দিল্লি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার বেদ ভূষণ। দুবাইয়ে পারিবারিক বিবাহের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। জুমেইরিয়া টাওয়ার হোটেলের বিলাসবহুল স্যুইটের বাথরুমের বাথ টবে অচেতন অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বলিউড স্টার শ্রীদেবীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। কীভাবে তাঁর মৃত্য হয়েছে তা নিয়ে নানা প্রশ্নও ওঠে।
দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন এসিপি বেদ ভূষণ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর তিনি জুমেইরিয়া টাওয়ারের ওই ঘরে গিয়েছিলেন। প্রাক্তন এই পুলিশ কর্তা বর্তমানে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর দাবি, তাঁদের তদন্তকারী দলের সদস্যরাও একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অনেকের সঙ্গে কথাও বলেছেন শ্রীদেবীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে। যদিও হোটেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্তে কোনও সহযোগিতা করতে চাননি বলে বেদ ভূষণের অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ওই হোটেলের মালিকানাও দাউদ ইব্রাহিমের নামে। তাছাড়া দাউদের সঙ্গে আরব আমিরশাহির রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তাঁর অভিযোগ,আন্ডার ওয়ার্ল্ডের টাকা-পয়সা সংক্রান্ত গণ্ডগোলের জেরেই খুন হতে হয়েছে শ্রীদেবীকে এবং এই খুনের পেছনে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের যোগ। দুবাইয়ে দাউদের প্রভাবের জন্যই বলিউড অভিনেত্রীর খুনের ঘটনাকে সাধারণ মৃত্যু বলে চালানো হয়েছিল।
এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তার দাবি, সাধারণ জলে ডুবে মৃত্যু নয়, একটি খুনের ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করে আবার যাতে শ্রীদেবী মৃত্যুর তদন্ত শুরু করা যায় তার জন্য প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। কারণ, এই মৃত্যুতে অনেক ধোঁয়াশা আছে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর তাঁর রক্তের নমুনা, ফুসফসে কত জল ঢুকেছিল এই সব তথ্যও দুবাই পুলিশ দিতে চায়নি বলে তাঁর অভিযোগ।