রাজধানী ছাড়ার আগে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছিলেন দু’মাস অন্তর তিনি দিল্লি আসবেন। তাঁর এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মান্থলি করে নেওয়া উচিত। সুবিধা হবে। বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, দলকে সর্ব ভারতীয় করার জন্য বিভিন্ন নেতার কাছ থেকে বিধায়ক, সাংসদ চেয়ে বেড়াচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। এতে লাভ কিছু হবে না।
সোনিয়া রাহুলের সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির বৈঠক নিয়েও ঘাসফুল শিবিরকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, বৈঠকের পরেও রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দেয়নি। সবাই জানে তৃণমূলের হাত ধরলেই সর্বনাশ। এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নেন তিনি। বলেন, রাজ্যে কংগ্রেসের অস্তিত্ব বাঁচাতে মমতার সঙ্গে মিটিং করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
টানা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় কলকাতা। জমা জলের জেরে একাধিক জায়গায় শহরবাসীর ভোগান্তির ছবি দেখা গিয়েছে। এ নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সভাপতির খোঁচা, উনি দিল্লি গেলেন আর এখানে সব ভেসে গেল।
এই একই কারণে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকেও তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী আবেগপ্রবণ হয়ে বলেছিলেন, তাঁর গ্রেফতারির জেরে তিনি কলকাতার মানুষকে পরিষেবা দিতে পারলেন না। এই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি তো এখন জেলের বাইরে আছেন। তা সত্ত্বেও জল থেকে কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে পারলেন না।
Comments are closed.