দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের জন্য মোদী সরকারের কাছে তাঁবু বানিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর বার্তা, যতদিন না আন্দোলনকারীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য কোনও খোলা ময়দানে তাঁবু খাটিয়ে থাকার ব্যবস্থা করুক মোদী সরকার।
রাজধানীর বুকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শাহিনবাগ এলাকাই সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান স্থান হিসেবে উঠে এসেছে। দিল্লির তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে প্রায় ৪০ দিন ধরে দুধের বাচ্চাকে নিয়ে রাতের পর রাত অবস্থান আন্দোলন করছেন মহিলারা। সেখানে অনেক বৃদ্ধাও রয়েছেন। এদিকে এই আন্দোলন, পথ অবরোধের ফলে তীব্র যানজটেও পড়ছে দিল্লির কয়েকটি এলাকা। দিল্লি ও নয়ডার সংযোগকারী হাইওয়েতে সবচেয়ে বেশি যানজট তৈরি হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। এই সূত্র ধরে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একটি ট্যুইটে লেখেন, মোদী সরকারের কাছে আমার আবেদন, রাত দুটো নাগাদ সিএএ আন্দোলকারীদের নিয়ে গিয়ে কোনও নিরাপদ খোলা মাঠে ক্যাম্প করে রেখে দেওয়া হোক। এরপর সাংসদ ঈষৎ কটাক্ষের সুরে লেখেন, যতদিন না আন্দোলনকারীরা বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন, ততদিন এই ব্যবস্থা করে দিক মোদী সরকার।
কিছুদিন আগেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পিছনে রয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের হাত। তারাই ভারতে হিংসা ছড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে মানুষকে খেপিয়ে তুলছে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের ‘দেশদ্রোহী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর পরামর্শ, অশান্তি ছড়ানোর কাজে যুক্ত এই দেশদ্রোহীদের দ্রুত পাকড়াও করা উচিত পুলিশের।
শাহিনবাগ আন্দোলনকারীদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং তাঁরা যানজট সৃষ্টি করছেন, এই অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সম্প্রতি দিল্লির উপ- রাজ্যপাল অনিল বাইজল শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন। সমস্ত আন্দোলনকারীকে হিংসাত্মক পথে না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন দিল্লির উপ- রাজ্যপাল।
Comments are closed.