নীতি বিসর্জন দিয়ে দল বদলালে, নতুন দলেও সম্মান মেলে না, দলবদলুদের খোঁচা সুব্রত মুখার্জির
মিলিটারি দিয়ে কাউকে ধরে রাখার পক্ষপাতি নয় তৃণমূল
নীতি বিসর্জন দিয়ে দল পরিবর্তন করলে, নতুন দলেও সম্মান পাওয়া যায় না। তৃণমূলের দলত্যাগী নেতাদের বিষয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখার্জি।
প্রসঙ্গত তৃণমূল ভবনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী যখন প্রেস কনফারেন্স করছিলেন ঠিক তখন অমিত শাহের পাঠানো চাটার্ড প্লেনের জন্য দমদম এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করছিলেন রাজীব ব্যানার্জি, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী সহ দলবদলু নেতারা। আজই দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেবেন তাঁরা।
ভোটমুখী বাংলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা দলত্যাগ করছেন, অভিযোগ দলে তাঁরা সম্মান পাচ্ছেন না। ব্যক্তি স্বার্থে দলত্যাগ যে কোনো দলই ভালো চোখে দেখে না, এদিন তাই যেন রাজীব-বৈশালীদের মনে করিয়ে খোঁচা দিলেন সুব্রত। তিনি বলেন, তৃণমূল বড় পার্টি। আমরা কাউকে মিলিটারি দিয়ে ধরে রাখতে পারি না। যাঁরা দল বদল করছেন তাঁরা কেন তা করছেন মানুষ সব বুঝতে পারছেন।
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে পঞ্চায়েত মন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাংক সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকারের মত জনপ্রিয় প্রকল্পের প্রশংসা করেছে বলেও দাবি সুব্রতর। ইতিমধ্যেই ৭৬.২৬ লক্ষ রাজ্যবাসী স্বাথ্যসাথীর কার্ড পেয়েছেন। খাদ্যসাথীতে ১৩.৩৯ লক্ষ মানুষের নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলেও এদিন তিনি জানান। এছাড়াও ১৫ লক্ষ বিধবা ভাতা দিয়েছে রাজ্য সরকার বলে জানান তিনি।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। সুব্রত বাবুর দাবি নাগরিকত্ব নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকার মতুয়াদের উদ্বিগ্ন করেছে। মতুয়ারা দেশের নাগরিক। মতুয়া সম্প্রদায়ের সবারই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। বর্তমানে এবং অতীতেও মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ভোটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, বিধায়ক সাংসদ হয়েছেন, বলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজের কথাও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মনে করিয়ে দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
Comments are closed.