কপালের লিখন খন্ডানো যায় না। বিধাতা পুরুষ কার জন্য কি লিখে রেখেছেন তা কেউ বলতে পারে না।যত সময়ের চাকা গড়ায় ততোই আমরা মুখোমুখি হই আমদের অদৃষ্টের। এক সময়ের দাপুটে অভিনেত্রীর বর্তমান অবস্থা দেখে আপনার মনে হতেই পারে “বিধির বিধান না যায় রে খন্ডন”….
দক্ষিণী ছবি একসময় পরিচিত অভিনেত্রী ছিলেন ঐশ্বর্য। তার নামের সাথে তার ক্যারিয়ারও ছিল ঐশ্বর্যময়। একাধিক দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করে রীতিমতো পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ঐশ্বর্য।
তার মাও ছিলেন দক্ষিণী ছবির বিখ্যাত অভিনেত্রী। তার মা লক্ষীর ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কার। এহেন ফিল্মি পরিবারে বেড়ে ওঠা ঐশ্বর্য যে পরবর্তীকালে সিনেমাকেই আপন করে নেবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৯৮৯ সালে ‘আদিভিলো অভিমন্যুডু’ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন ঐশ্বর্য। এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন জগ পতি বাবু। এরপর বহু সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিভিন্ন ভাষা মিলিয়ে মোট দুশো টির উপর ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য। তেলেগু ছাড়াও মালায়াম ,কান্নার ছবিতে তার চাহিদা ছিল রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। ১৯৯৪ সালে তানভীর আহমেদ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ঐশ্বর্য। নতুন সংসার জীবন শুরু করে লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন এর দুনিয়া থেকে বহুদূরে চলে যান।
এরপর মাত্র দু’বছরের মাথায় তার বিচ্ছেদ হয় তানভীরের সাথে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর হাজার চেষ্টা করেও টিভি বা সিনেমা কোন কিছুতেই আর কাজ জোটাতে পারেননি। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর চরম অর্থাভাবের সম্মুখীন হন একসময়ের পর্দাকাঁপানো এই অভিনেত্রী। এরপর বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি সাবান-শ্যাম্পু বিক্রি করতে শুরু করেন। ঐশ্বর্য জানিয়েছেন, তার কাছে জীবন চালানোর মত টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কোথাও কাজ না পেয়ে সাবান-শ্যাম্পু বিক্রি করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
Comments are closed.