টাকার অভাব দেখা দিয়েছে সুপারস্টার অজয় পত্নী কাজলের। ভিক্ষা দেওয়ারও পয়সা নেই তার। কি বলছেন অভিনেত্রী কাজল ?
নেট মাধ্যমে লাগাতার টাকার খোটা খাচ্ছেন অজয় পত্নী কাজল । ” আপনি কি টাকার অভাবে আছেন?” টুইটারে কটাক্ষের শিকার DDLJ এর নায়িকা।সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা যায় অজয় পত্নী কাজল একটি শপিং মল থেকে শপিং সেরে ফিরছেন। হেঁটে হেঁটে আসছেন তার গাড়ির দিকে। তখনই এক ক্ষুদে ভিক্ষুক কাজলের কাছে এসে কিছু টাকা ভিক্ষা চায়। তখন কাজল নির্দ্বিধায় সেই বাচ্চাটিকে উপেক্ষা করে গট গড করে হেঁটে তার গাড়িতে উঠে পড়ে। বাচ্চা ভিক্ষুকটি তারপরেও কাঁদতে কাঁদতে তার গাড়ির কাঁচের জানালায় টোকা মারতে থাকে কিছু টাকা পাওয়ার আশায়। তখন দরজা খুলে বাচ্চাটির হতে অল্প কিছু টাকা দেয় কাজল। ঠিক তখনই আরো একটি ছোট বাচ্চা ভিক্ষা চাইতে আসে সেখানে কিন্তু কাজল তাকে টাকা না দিয়েই দুম করে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়। এবং বন্ধ দরজার ভেতর দিয়ে হাত নাড়িয়ে চলে যান তিনি।
কাজল বলিউডের একজন অন্যতম ধনী অভিনেত্রী যার স্বামীও একজন ধনবান অভিনেতা তথা ব্যবসায়ী। তাও তাদের এত টাকার অভাব ,যে সামান্য কিছু টাকাও ছোট ছোট দুজন ভিক্ষুককে দিতে পারলেন না অভিনেত্রী? তার গোছা গোছা ধনোরাশির থেকে মাত্র ১০০ টাকাও যদি তিনি তুলে দিতেন ওই ভিক্ষুক দুজনের হতে তাহলে কোনও প্রভাবই পড়ত না তাদের ধনভাণ্ডার এ। এই কারণেই রীতিমত কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী।
অনেকেই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছেন তার অর্থাভাব দেখা গিয়েছে কিনা? একজন আবার লিখেছেন , ” এত ফেমাস একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্বেও একটা ১০০ টাকার নোট ভিক্ষুকদের হাতে দিতে পারলেন না?” একজন আবার প্রশ্নই করে বসেছেন , ” টাকা নিয়ে কি স্বর্গে যাবেন?” এক নেটবাসি আবার বিদ্রুপ করে লিখেছেন , “আপনি এত্ত টাকা দিয়ে দিয়েছেন আমি তো ভাবলাম আপনি না কাঙাল হয়ে যান। ”
অন্যদিকে অভিনেত্রী স্ব-পক্ষ অবলম্বন করে বলেন,” বাচ্চাদেরকে ভিক্ষা দেওয়া কখনোই উচিত নয়। তাহলে এটা তাদের বদ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যেতে পারে এবং তারা পরবর্তীতেও তাদের হাত-পা থাকা সত্বেও খেটে খেটে শিখবে না। যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই খারাপ হবে।” টাকার পরিবর্তে কোন খাবার জিনিস দেওয়া এর থেকে অনেক ভালো বলেই মনে করেন অভিনেত্রী। যদিও তা তিনি বাস্তবে করেন নি। প্রসঙ্গত অভিনেত্রী তথা অজয় পত্নী কাজলকে খুব শীঘ্রই “দ্যা গুড ওয়াইফ” নামক সিনেমায় দেখা যাবে।
Comments are closed.