The pen is mightier than the sword! ১৮৩৯ সালে লিখেছিলেন ব্রিটিশ লেখক এডওয়ার্ড লিটন। কলমের শক্তিকে তলোয়ারের শক্তির চেয়েও এগিয়ে রাখার পরম্পরার সেই শুরু। তারপর এসেছে ইন্টারনেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ বিশ্বের ইতিহাসে ঘটে গেছে অনেক বড় বড় পরিবর্তন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানাল, আজ সোশ্যাল মিডিয়া এতটাই শক্তিশালী যে তাকে বন্দুকের মতো ব্যবহার করা যায়। ১৮১ বছরের ব্যবধানে দুই প্রেক্ষিতে দুই মন্তব্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা।
মামলা চলাকালীন অভিযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না, উত্তরপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রায় দিতে গিয়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা সচিন চৌধুরী আবেদন করেছিলেন। দাবি জানিয়েছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনা করার। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানাল, কেউ চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াকে বন্দুকের মতো ব্যবহার করতে পারেন!
কয়েকমাস আগে সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউন বিধি ভাঙার অভিযোগে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলাতেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট সচিন চৌধুরীকে জামিন দেয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করার শর্তে। অন্তত যতদিন না মামলা শেষ হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা সচিন চৌধুরী হাইকোর্টের এই শর্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। সেখানে তাঁর আইনজীবী তথা সিনিয়র কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ সওয়াল করেন, হাইকোর্টের অর্ডার বাক্ স্বাধীনতার পরিপন্থী। কিন্তু বিচারপতিরা এ কথা মানতে চাননি।
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে আইনজীবী সলমন খুরশিদকে প্রশ্ন করেন, অভিযুক্তকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে বারণ করার মধ্যে আপত্তির কী দেখছেন? বিচারপতি বোবদে বলে চলেন, কোর্ট যদি একজন অভিযুক্তকে বন্দুক-পিস্তল থেকে দূরে থাকতে বলতে পারে, তাহলে একজনকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে বললে সমস্যা কী? পরবর্তী শুনানি ২৮ অগাস্ট হওয়ার কথা।
Comments are closed.