পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইলেন শুভেন্দু, কেতুগ্রামে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রথম এক মঞ্চে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী
পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। তৃণমূলকে হারাবোই হারাব। বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথম সভা থেকে এভাবেই পুরনো দলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের সভায় দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানালেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী মন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোনও শর্ত ছাড়াই তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। আর সেখান থেকেও নাম না করে ফের তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জিকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী। বলেন, অমত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে একটাই শর্ত দিয়েছি, বলেছি তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। শুভেন্দু আরও বলেন, মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক এবং তৃণমূলের সদস্যপদ ছেড়ে একজন সাধারণ ভোটার হিসেবেই তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল যে অনৈতিকতা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করেছে তা নস্যাৎ করে দেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা।
একইসঙ্গে বিজেপি-র উপর তৃণমূলের ‘নির্ভরতা’র কথা বলে পুরনো দলকে বিঁধেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল তৈরির পর অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীরা ‘আশ্রয়’ না দিলে ২০০১ সালেই ওই দলটাই উঠে যেত। পাশাপাশি এদিন ফের তাঁর মুখে উঠে আসে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা। তবে এবার বিজেপি নেতাদের প্রশস্তি করে শুভেন্দু বলেন, অন্য কোনও দল না গেলেও অশান্ত নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহ। নন্দীগ্রাম ইস্যুতে এনডিএ-এর সাংসদরাই ৬২ দিন ধরে সংসদের দুই কক্ষ অচল করে রেখেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী।
Comments are closed.