করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে ৩১ মার্চের পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়বে কি না জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনের গত কয়েকদিন ধরে মুদি দোকান, দুধের আউটলেট, সবজির দোকান, ওষুধের দোকান ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় ও আবশ্যিক পণ্য ছাড়া আর সব দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঘরবন্দি বাঙালি শেষপাতে এই ক’দিন যে মিষ্টিকে ভীষণ মিস করছে তা বলাই যায়।
অন্যদিকে, কয়েকদিন ধরে রাজ্যের সমস্ত মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় মিষ্টি ব্যবসায়ীরা তো বটেই, বিরাট সমস্যায় পড়ছিলেন দুধ ব্যবসায়ীরাও। বাংলায় মোট উৎপাদিত দুধের একটা বড় অংশ মিষ্টির দোকানে যায়। মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে দুধ নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি দুধ ব্যবসায়ীদের। রাজ্যের ডেয়ারি শিল্পও বড় লোকসানের মুখে পড়েছে।
এই প্রেক্ষিতে সোমবার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত রাজ্যের সব মিষ্টির দোকান খোলা রাখা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি আম বাঙালি থেকে ব্যবসায়ীরা। তবে দোকান খুলে রাখার জন্য রাজ্য সরকার যে চার ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয় বলেও দাবি অনেক ব্যবসায়ীর। বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হলে কতটা বিক্রিবাটা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের। তবে লকডাউনের মধ্যেও মিষ্টি পাওয়া যাবে, এই খবরে খাদ্যরসিক বাঙালি যে খুশি, তা বলাই বাহুল্য।
Comments are closed.