‘অধীরদের অন্ধ মমতা বিরোধিতাই কংগ্রেসের ক্ষতি করবে’, কটাক্ষ তাপস রায়ের

অধীর চৌধুরীকে পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

বাংলায় বিজেপিকে সরাতে মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে কংগ্রেসকে আহ্বান করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এ নিয়ে শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে অধীরবাবুকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়। তাঁর কথায়, যে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে, একসময় তাদের অন্ধ কংগ্রেস, ইন্দিরা ও রাজীব বিরোধিতা অনেক ক্ষতি করেছিল। তেমনি অধীরদের অন্ধ মমতা বিরোধিতাই বাংলায় কংগ্রেস রাজনীতিকে অনেকটা পিছিয়ে দেবে।

বিজেপিকে পরাস্ত করতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শক্তিগুলিকে তৃণমূলের পাশে চাওয়া নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, একটা সময় যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এমনকি কংগ্রেসকে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা এখন বুঝতে পেরেছেন এদের ছাড়া আর কোনও গতি নেই। তৃণমূলের আহ্বান উড়িয়ে দিয়ে মমতাকে কংগ্রেসে ফিরতে আহ্বান জানিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। যা নিয়ে মন্ত্রী তাপস রায়ের মন্তব্য, ভারতে যদি কংগ্রেস দল হিসেবে না ব্যর্থ না হত তাহলে বিজেপির মতো ‘কাপালিক শক্তি’ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসত না। কংগ্রেস নেতৃত্ব ব্যর্থ বলেই বিজেপিকে কেন্দ্রের ক্ষমতায় দেখতে দেখতে হচ্ছে। এরপরেই অধীরকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, তাঁর অন্ধ মমতার বিরোধিতা এ রাজ্যেও কংগ্রেস রাজনীতিকে অনেকটা পিছিয়ে দেবে।

ভোটের আগে দলবদলু ও বেসুরো নেতাদের নিয়েও মন্তব্য করেন তাপস রায়। তাঁর কথায়, দলে যে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র রয়েছে তাই প্রমাণ হচ্ছে যাঁরা দল নিয়ে মন্তব্য করছেন। তবে দলত্যাগীদের নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তাপস। বলেন, আমাদের শক্তি বাংলার মানুষ ও মমতা ব্যানার্জি। যে বিজেপি মমতার জনমুখী প্রকল্পকে কটাক্ষ করছেন, মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে তাদের ‘যমের দুয়ারে’ পাঠাতে হবে।

বিজেপির গুজরাত মডেলকে কটাক্ষ করে বাংলার উন্নয়নের সঙ্গে মোদী-রাজ্যের তুলনা টানেন তিনি। বলেন, সারা বিশ্ব বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি, দর্শনকে গ্রহণ করছে। তাকে পরিবর্তন করাই বিজেপির হিডেন এজেন্ডা। এরা নেতাজির বদলে বাংলায় বীর সাভারকরকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় শ্যামা প্রসাদ, রামমোহন-বিদ্যাসাগরের বাংলায় দীনদয়াল উপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলার ১০ কোটি মানুষের অস্মিতা, অহংকার ও সত্তায় আঘাত দেওয়ার চেষ্টা বাংলাবাসীরা মানবে না, মন্তব্য তৃণমূল নেতার।

Comments are closed.