আশির দশকের বাংলা সিনেমার নাম করলেই প্রথমেই মাথায় আসে তাপস পালের দাদার কীর্তি। ১৯৮০ সালে প্রথম মুক্তি পায় এই ছবিটি। দেখতে দেখতে চল্লিশটা বছর পেরিয়ে গেছে। এই ছবিতে তাপস পালের কেদার চরিত্রকে এখনো ভুলতে পারিনি দর্শক। কেদারনাথ ও স্বরস্বতীর সেই মিষ্টি প্রেমের গল্প আজও দর্শকদের কাছে খুবই প্রিয়। ছবির পরিচালক ছিলেন তরুণ মজুমদার। তাপস পাল মহুয়া পাশাপাশি এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল দেবশ্রী ও অনুপ কুমারকেও। সম্প্রতি চল্লিশ বছর পূর্ণ হল বাংলা সিনেমার এই অন্যতম জনপ্রিয় ছবি দাদার কীর্তির।
৪০ বছর হয়ে গেল সেই ছবির। তবে এখন আর নেই কেদার আর সরস্বতী। চলতি বছরের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি চলে যান সকলের প্রিয় কেদারনাথ উরফে তাপস পাল। আজও তাপস পালের গলায় হেমন্তের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় দর্শক মহল। অন্যদিকে দাদার কীর্তি মুক্তি পাওয়ার ৫ বছরের মাথায় মারা যান মহুয়া রায়চৌধুরী। কিন্তু দর্শকদের মনে আজও জীবিত রয়েছে কেদার ও স্বরস্বতীর নির্ভেজাল প্রেম।
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পের উপর ভিত্তি করে এক অতুলনীয় ছবি তৈরি করেছিলেন তরুণ মজুমদার। বাংলা সিনেমায় তাঁর এই অবদান কোনদিনও ভুলতে পারবেনা কেউ। দাদার কীর্তি গল্পে কেদার ও সরস্বতী বাদেও ছিল আরও একটি চরিত্র, ভোম্বল দা। অনুপ কুমারের খুনসুটিতে মেতে উঠেছিল দর্শক। আজ থেকে ৪০ বছর আগে নভেম্বর মাসে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। আজও রেডিওতে ‘এই করেছ ভালো’ বাজলে মনে পড়ে যায় সেই যুগের কথা।
Comments are closed.