‘আঠাশ বছরের মড়াকান্না বৃথা গেল…’, আনন্দবাজার ও এই সময়কে বেনজির আক্রমণ তথাগত রায়ের! আর কী লিখলেন ট্যুইটে
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় আদালতের রায়কে সমর্থন জানিয়ে বাংলার প্রথম সারির দুই সংবাদপত্রকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ট্যুইটে আনন্দবাজার পত্রিকা এবং এই সময় সংবাদপত্রের নীতিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ব্যবহার করলেন এমন শব্দ যা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে তাঁর শালীনতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে তথাগত রায় নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করেন। তাতে আনন্দবাজার পত্রিকা এবং এই সময় কাগজের এদিনের প্রথম পাতার কিছু অংশের ছবি দিয়ে কলকাতার ‘নিরপেক্ষ’ সংবাদমাধ্যম শিরোনামে দুটি বাক্য লেখেন, যেখানে ব্যবহার করেন ‘মড়াকান্না’ শব্দ।
ঘটনার প্রায় ২৮ বছর বাদে ৩০ সেপ্টেম্বর এসেছে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়। লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এস কে যাদব রায়ে জানিয়েছেন, বাবরি ধ্বংস যে পূর্ব পরিকল্পিত, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। অভিযুক্ত ৩২ জনকেই বেকসুর খালাস করেছেন তিনি।
আদালতের বাবরি-রায় নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয়েছে চর্চা। এবার সেই চর্চায় ঢুকে পড়লেন রাজ্যপাল পদ থেকে অবসর নিয়ে নতুন করে রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হওয়া তথাগত রায়।
মেঘালয়ের রাজ্যপাল থাকাকালীন বাংলার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বারবার ট্যুইট করেছেন তথাগত রায়। অন্য রাজ্যের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লাগাতার ট্যুইটের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এমনকী সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট থেকে শুরু করে ফেক নিউজ, বিভিন্ন ইস্যুতেই ট্যুইট করেছেন তিনি।
পড়ুন তথাগত রায়ের আগের ট্যুইট: বাঙালিদের নিয়ে রাজ্যপাল তথাগত রায়ের কুরুচিকর ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
সংবাদমাধ্যমের একাংশ, নির্দিষ্ট করে বললে আনন্দবাজার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাজ্যপাল থাকাকালীন একাধিকবার আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। কখনও কোভিড বিধি ভেঙে ময়দানে ভিড় করে করোনা মাতার পুজোর কেন সমালোচনা করেছে এবিপি আনন্দ, তা নিয়ে আক্রমণ করেছেন। আবার কখনও আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত কোনও খবরে আপত্তি জানিয়ে তাকে অ্যান্টি ন্যাশনাল আখ্যা দিয়েছেন।
এবার বাবরি রায় নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার ধারাবাহিক নীতির সমালোচনা করলেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর নিশানায় এবার টাইমস অফ ইন্ডিয়া গোষ্ঠীর বাংলা সংবাদপত্র এই সময়ও।
বুধবারের বাবরি রায়কে কার্যত ঘুরিয়ে সমালোচনা করে এদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘দোষ কারও নয়’ শীর্ষক শিরোনাম প্রকাশিত হয় প্রথম পাতায়, অন্যদিকে এই সময় পত্রিকায় ‘যত দোষ জনরোষ’ শিরোনাম প্রকাশিত হয়। এই শিরোনাম এবং খবরেরই সমালোচনা করতে গিয়ে তথাগত রায় ট্যুইট করে লিখলেন, ‘আঠাশ বছরের মড়াকান্না বৃথা গেল…’
Comments are closed.