ফের বিতর্কে তথাগত রায়। এবার শিরোনামে এলেন কলকাতা বন্দরের নয়া নামকরণকে বাহবা দিতে গিয়ে প্রয়াত বাম নেতাদের অশালীন আক্রমণ করে।
জয় শ্রীরাম স্লোগান থেকে শুরু করে বাঙালি তরুণ-তরুণীদের প্রবাসে অবস্থা কিংবা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ বা নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একের পর এক বিতর্কিত ট্যুইট এসেছে। এমনকী তাঁর নিশানা থেকে বাদ যাননি বাংলার ভোটে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর মতো জনপ্রতিনিধিও। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। ইস্টবেঙ্গল-কাণ্ডে বিপাকে পড়ে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিংহদের পূর্বসূরী তথাগত রায়কে। আবার কখনও ফেক নিউজ নিজের হ্যান্ডেল থেকে রিট্যুইট করে বিতর্কে জড়িয়ে নেটিজেনদের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছেন। এবার তথাগত রায়ের নিশানায় বাংলার প্রয়াত সিপিএম নেতারা।
সম্প্রতি শহরে এসে কলকাতা বন্দরের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে বিতর্কও চলছে। অপেক্ষা ছিল তথাগত রায়ের আসরে নামার।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ তথাগত রায় ট্যুইট করেন মোদীর নামবদলের সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে। আর তাতে শালীনতার বেড়া ডিঙিয়ে আক্রমণ করেন প্রয়াত জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্ত, শৈলেন দাশগুপ্তদের। কিন্তু কেন তিনি প্রয়াত নেতাদের টেনে আনলেন? ট্যুইটে দেখা যাচ্ছে তিনি সরাসরি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম করে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রয়াত বাম নেতাদের টেনে এনেছেন। এবং দাবি করেছেন, সিপিএমের জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্ত ও শৈলেন দাশগুপ্তরা ঢাকা, ফরিদপুর ও বরিশাল থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে এসে শ্যামাপ্রসাদ-সৃষ্ট পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি করেছেন।
তথাগত রায়ের এই ট্যুইট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও রাজ্য সিপিএমের বক্তব্য, তথাগত রায় যে ট্যুইট করেছেন তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কারণ, অতীতেও তিনি এমন বহু মন্তব্য করেছেন যা শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছে।
Comments are closed.