‘KSAD’ কে বিঁধতে গিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমার প্রশংসা বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের
তথাগত রায় লেখেন, আমি নিরুপায়। এরপরই বর্তমান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধে লেখেন, ‘KSA’ পালিয়ে গিয়েছে। D আমার ফোন তুলছে না। এখানে K কৈলাস বিজয়বর্গীয়, S শিবপ্রকাশ এবং A অরবিন্দ মেনন। এখানে D মানে দিলীপ ঘোষ।
ট্যুইটারে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ঘটনার সূত্রপাত একদিন আগে। মেঘালয়ের প্ৰাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় একটি ট্যুইট করে জানান, তাঁর খুব কাছের একজন জানিয়েছেন প্রায় ১ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে ঘরছাড়া। এখন তৃণমূলের কিছু গুন্ডা ঘরে ফেরার বিনিময়ে ওই বিজেপি কর্মীদের কাছে টাকা দাবি করছে। তারপরেই তথাগত রায় লেখেন, আমি নিরুপায়। এরপরই বর্তমান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধে লেখেন, ‘KSA’ পালিয়ে গিয়েছে। D আমার ফোন তুলছে না। এখানে K কৈলাস বিজয়বর্গীয়, S শিবপ্রকাশ এবং A অরবিন্দ মেনন। এখানে D মানে দিলীপ ঘোষ।
প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথাগত রায়ের ওই ট্যুইটে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, স্যার আপনাকে অনুরোধ করছি এই বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আমাদের জানান। দলমত নির্বিশেষে ঘরছাড়া রাজনৈতিক কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আমরা সাহায্য করবো। চন্দ্রিমা আরও দাবি করেন, কথা দিচ্ছি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তৃণমূল সরকারের প্রথমসারির মন্ত্রীর জবাব পেয়ে তথাগত রায় ফের একটি ট্যুইট করে চন্দ্রিমা ভট্রাচার্যকে ধন্যবাদ জানান। ট্যুইটে তিনি লেখেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বিরাট জয়ের পরেও এই সৌজন্যের প্রশংসা করি।
ট্যুইটের শেষ অংশে বিজেপি নেতার দাবি, আরও অনেকে ঘরছাড়া রয়েছেন। আমার অনুরোধ আপনাদের পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হোক সরকার।
তথাগত রায়ের এই ট্যুইটটি রিট্যুইট করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্রাচার্য বিজেপি নেতাকে ধ্যনবাদ জানিয়ে লিখেছেন, নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, তৃণমূল এই বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই দুই শিবিরের নেতৃত্বের এই ট্যুইট নজর কেড়েছে অনেকের। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, ভোটের পর তাঁরা অত্যাচারিত হলেও দলীয় নেতৃত্ব তাঁদের পাশে দাঁড়াননি।
তথাগত রায় নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে ট্যুইট করে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আর একবার সেই অভিযোগকেই সামনে আনলেন, বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.