৫৪ বছর বয়েসী চন্দ্রশেখর দেশাই কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়ে দিব্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন। এমন সময় স্থানীয় পুরসভা থেকে একটি ফোন আসে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দ্রশেখরকে ফোন করে জানান, চন্দ্রশেখরের ডেফ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে গিয়েছে! তিনি যেন অবিলম্বে পুরসভায় এসে তা সংগ্রহ করেন।
ঘটনাটি ঠানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের। পেশায় শিক্ষক চন্দ্রশেখর দেশাই ঠানের মানপাদা এলাকার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার ঠানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থেকে ফোন করে তাঁর ডেফ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলা হয়।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ২০২০ আগস্ট মাসে তিনি করোনা সংক্রমিত হন। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করে তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন। তাঁকে পুরসভার এক মহিলাকর্মী ফোন করে বলেন, তিনি পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে বলছেন, চন্দ্রশেখর দেশাইয়ের ডেফ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে গিয়েছে, তিনি যেন নিয়ে যান। চন্দ্রশেখর ফোনে যখন ওই আধিকারিকে নিজের নাম জানান, মহিলাকর্মীটি হকচকিয়ে যান। জিজ্ঞেস করেন, তাঁর বাড়িতে আর কেউ কোভিডে মারা গিয়েছে কিনা? চন্দ্রশেখর জানান, তিনি বা তাঁর বাড়ির কেউ মারা যাননি।
এই অদ্ভুদ ফোন পাওয়ার পরেই উদ্বিগ্ন চন্দ্রশেখর পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুরসভার পাল্টা যুক্তি, আইসিএমআর-এর তালিকায় মৃতদের মধ্যে তাঁরও নাম ছিল, এই ব্যাপারে পুরসভার কোনও দায় নেই। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে পুরসভা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় তারা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটির কারণে এরকম ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মৃতদের তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ভবিষৎ-এ আর এমনটা হবে না বলেই আশাবাদী পুরসভা।
Comments are closed.