মমতার আন্তরিকতায় মুগ্ধ এসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের পর ২ দিন এএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দু’দিনেই ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মন জয় করে ফেললেন মমতা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে কালীঘাটের বাড়ি ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি ফেরার আগে ওয়ার্ডের সকলকে কেক খাইয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে এসএসকেএমে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীকে সুস্থ করে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসপাতলের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মূল হাসপাতাল থেকে উডবার্ন ওয়ার্ড কিছুটা দূরে। তাই উডবার্নেরই তিনতলার একটি কেবিনে বুধ ও বৃহস্পতিবার সর্বক্ষণ ছিলেন তাবড় চিকিৎসকরা।
উডবার্নের নার্সরা জানিয়েছেন, মমতা দু’দিনেই আন্তরিকতা দিয়ে মন জয় করে ফেলেছেন সকলের। শুক্রবার ছুটির আগে উডবার্নের ২০ জন কর্মীকে ডেকে পাঠান মমতা। প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে কেক খাইয়ে মিষ্টি মুখ করান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন- খড়গপুর সদরে দিলীপ ঘোষকে পাশে নিয়ে প্রচারে হিরণ, মন্দির প্রদর্শন, দেখুন ফটো গ্যালারি]
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। চা খাওয়ার পর খবরের কাগজে চোখ বোলান। এরপর কিছুক্ষণ টিভি দেখেন। তারপর নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান। খোশমেজাজে গল্প করেন মমতা। সারাদিনই তিনি সময় করে নার্সদের সঙ্গে গল্প করেন। অভিষেক ব্যানার্জি দুপুরের খাওয়ার নিয়ে আসেন। দুপুরে সেই খাবার খান। খেতে খেতেও নার্সদের সঙ্গে হাসি ঠাট্টা চলে। তখন কে বলবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন কর্মীরা!
এরপর মমতাকে দেখতে আসেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান তিনি। বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, শুনেছিলাম মমতা ব্যানার্জি অমায়িক ও মাটির মানুষ। কিন্তু চাক্ষুষ এবার দেখলাম।
চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন আরও ৪৮ ঘণ্টা তিনি হাসপাতালেই থাকুন। কিন্তু হাসপাতালে শুয়ে থাকতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ ধরনের হুইল চেয়ার এবং প্লাস্টারের উপর পরার জন্য কাস্ট শু পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন মমতা।
বাঁ পায়ের ফোলা ভাব কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক চলবে। ব্যথা কমাতে খেতে হবে প্যারাসিটামল। সাতদিন পর প্লাস্টার কেটে পায়ের অবস্থা পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএমের অধিকর্তা ডাক্তার মণিময় ব্যানার্জি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
Comments are closed.