মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলেও কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা। মাধ্যমিকের মতোই এবছর উচ্চমাধ্যমিকে প্রথমস্থান অধিকার করেছে উত্তরবঙ্গের এক কৃতী ছাত্র। ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবছর উচ্চমাধ্যমিকে সেরা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। মাধ্যমিকেও প্রথম হয়েছিল উত্তরবঙ্গেরই কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকেডেমির ছাত্রী সঞ্জীবনী দেবনাথ। মেধা তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতার ১০ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীর। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পাঁচ ছাত্রও রয়েছে সেরা দশের তালিকায়। সফল পরীক্ষার্থীদের ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাধ্যমিকের মতোই, উচ্চমাধ্যমিকেও রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতেও এবছর নজরকাড়া ফল হয়েছে। প্রথম স্থানে থাকা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত ছাড়াও এবছর উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুলের পাঁচ ছাত্র-ছাত্রী। মেধাতালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র অনুভব চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। ৪৮৪ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের দিশা ঘোষ। তালিকার অষ্টম স্থানে নাম রয়েছে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের জিষ্ণ বিশ্বাসের (৪৮৩)। যথাক্রমে নবম ও দশম স্থান অধিকার করেছে উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের বিকাশ রাজ পাল (৪৮২) ও জেনকিন্স স্কুলের মাহেদ উজ্জামানের (৪৮১)।
শুক্রবার সকাল দশটায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এবছরের ফল প্রকাশ করেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন মহুয়া দাস। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৩.৭৫ শতাংশ। এবছর পরীক্ষায় বসেছিল আট লক্ষেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। পরীক্ষার্থী দের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ছাত্রী এবং ৪৭ শতাংশ ছাত্র ছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ লক্ষ ৬৩ হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী। পাশের হার সর্বাধিক পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নব গঠিত কালিম্পং জেলা। রাজ্যের ১৮ জেলায় ছাত্রীদের পাশের হার ছাত্রদের থেকে বেশি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৮ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল।
সংসদ চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, এবছর অনলাইনে করা যাবে রিভিউয়ের আবেদন। ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে জানা যাবে রিভিউ এর ফল। আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, শেষ হবে ১৩ মার্চ।