স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়েছে। আর্থিকভাবে সাবলম্বী স্ত্রী যদি স্বামীকে ছেড়ে চলে যায়। সেই আশঙ্কা থেকে স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে নিল স্বামী। ভায়বহ এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা শের মহম্মদ শেখ স্ত্রী রেণু খাতুনের হাত কেটে তাঁকে আহত অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
শনিবার রাতে কেতুগ্রামে নিজের বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন রেণু খাতুন। সেইসময় বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন স্বামী শের মহম্মদ শেখ। এরপর রেণু খাতুনের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে কেটে ফেলে তাঁর ডা হাতের কব্জি। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কব্জি কেটে নেওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাটা হাত বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত। কোনওভাবেই যেন চিকিৎসকেরা হাত জোড়া লাগাতে না পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই হীনমন্যতাইয় ভুগছিলেন শের মহম্মদ শেখ। স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। রেণু খাতুনের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, চাকরিতে যেন যোগ দিতে না পারে, তাই সব প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ছোট থেকেই রেণুর স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। সে ট্রেনিংও নিয়েছিল। সরকারি চাকরি করা যাবে না, এমন দাবি করতেন রেণুর স্বামী শের মহম্মদ শেখ। ঘটনার পর থেকে পলাতক শের মহম্মদ শেখ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
Comments are closed.