এক বছর আগে লকডাউনের সময় গুরগাঁও থেকে ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অসুস্থ বাবাকে বিহারে ফিরিয়ে এনেছিল সে। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায় ১৫ বছরের জ্যোতি কুমারী। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল জ্যোতির বাবা মোহন পাসোয়ানের।
পেশায় ই-রিক্সা চালক মোহন পাসোয়ান মেয়েকে নিয়ে গুরগাঁওয়ে থাকতেন। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। সেইসময় তাঁকে দেখতে যায় কিশোরী জ্যোতি। গত বছর মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হলে আটকে পড়েন তাঁরা। দু’দিন না খেয়ে থাকার পর কোনও রকমে ধার করে একটি সাইকেল কেনে জ্যোতি। সেই সাইকেল চালিয়ে ১২০০ কিলোমিটার পেরিয়ে তিনি অসুস্থ বাবাকে ফিরিয়ে আনেন বিহারের দ্বারভাঙায় নিজের বাড়িতে।
এর আগে জ্যোতি পরিযায়ী শ্রমিক, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের বাড়ি ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন।
তাঁর এই কাজের জন্য প্রধানমন্ত্ৰী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার পান। IIT-JEE তাঁকে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ দেয়। উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির তরফে তাকে ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়। লকডাউনে মেয়ে প্রাণ রক্ষা করেছে বলে গর্ববোধ করতেন মোহন পাসোয়ান। কিন্তু আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর
Comments are closed.