প্রয়াত তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে এই বর্ষীয়ান পরিচালক ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। গড়া হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তার সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান পরিচালক। ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়াও, বিএফজেএ পুরস্কার, আনন্দলোক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবি বানান তিনি। ১৯৬০ সালে বানালেন ‘স্মৃতি টুকু থাক’। ১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ বানান তিনি। এই ছবি তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল। এরপর ‘পলাতক’, ‘নিয়ন্ত্রণ’, ‘সংসার সীমান্তে’, ‘গণদেবতা’ ছবিগুলি প্রশংসা পায়। এছাড়াও বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), আপন আমার আপন (১৯৯০) এর মতো ব্লকবাস্টার ছবিও বানিয়েছেন তিনি। এরপরেও পথ ও প্রসাদ(১৯৯১), সজনী গো সজনী(১৯৯১), কথা ছিল(১৯৯৪), অরণ্যের অধিকার(১৯৯৮) তাঁর অসামান্য সৃষ্টি। ২০০০ এর দশকে তাঁর সুপারহিট ছবি আলো। যা মুক্তি পায় ২০০২ সালে। ভালোবাসার আরেক নাম(২০০৬) ও চাঁদের বাড়ি(২০০৭) সালে মুক্তি পায়।
তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সন্ধ্যা রায়কে। ১৯৬০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন সন্ধ্যা রায়। ত রুণ মজুমদার পরিচালিত অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
Comments are closed.