যে কোনও শিল্পে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল বিদ্যুৎ। কিন্তু ক্রমাগত বিদ্যুতের চাহিদা কমায় গোটা দেশে মোট ১৩৩ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে। যা শিল্পক্ষেত্রে সামগ্রিক মন্দাকে ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন বলছে, গত ১১ নভেম্বর ২৬২ টি কোল, লিগনাইট ও পারমানবিক কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ ইউনিট বিবিধ কারণে ‘আউট অফ সার্ভিস’ হয়ে যায়। এর মধ্যে মোট ১৩৩ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুতের চাহিদার নেই বলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, যেখানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ৩,৬৩,৩৭০ মেগাওয়াট, সেখানে ৭ নভেম্বর চাহিদা ছিল মাত্র ১,৮৮,০৭২ মেগাওয়াট। এই অবস্থায় উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলির প্রায় ১১৯ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রযুক্তির ভাষায় ‘রিজার্ভ শাটডাউন’ এর মুখোমুখি হয়েছে। পাশাপাশি, আরও ১৪ টি ইউনিট পাওয়ার পার্চেজ ইউনিট (পিপিএ) এগ্রিমেন্ট পরিচালনা করতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। গ্রিড ম্যানেজারদের মতে, শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চাহিদা কমে আসায় এই ১৩২ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (সিইএ) তথ্য বলছে, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় অবস্থিত এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি কোনওটি কয়েকদিন, আবার কোনওটি কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। যা দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের শ্লথ গতির দিকেই নির্দেশ করছে। সরকারি তথ্য বলছে, এক ডজনেরও বেশি কেন্দ্র টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য বন্ধ আছে। এদের প্রায় সবারই ‘ওয়াটার ওয়াল টিউব লিকেজ’ সমস্যা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ক’দিনের চেষ্টাতেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা, তা কেন দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে? সূত্রের খবর, চাহিদার অভাবের জন্য নতুন করে আর উৎপাদন শুরু করতে চাইছে না চাহিদার অভাবে ১৩৩ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে মন্দার জেরেই দেশের অর্ধেক সংখ্যক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, দাবি বিভিন্ন মহলের।
Comments