সম্প্রতি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল অন্ধ্রের তিরুপতি মন্দির। যার ফলশ্রুতি লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর ৭৪৩ জন কর্মীর করোনা পজিটিভ এসেছে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। জানালেন টিটিডি-র একজিকিউটিভ অফিসার অনিলকুমার সিংহ।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বা TTD ট্রাস্টের একজিকিউটিভ অফিসার জানান, গত ১১ জুন থেকে তিরুমালার শ্রীভরি মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে টিটিডি-র ৭৪৩ জন কর্মী করোনা সংক্রমিত হন। এঁদের মধ্যে ৪০২ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। এখনও ৩৩৮ জন কর্মী টিটিডি-র তৈরি কোভিড সেন্টারে রয়েছেন। শ্রীনিবাসম, বিষ্ণুনিবাসম ও মাধবম, এই তিনটি গেস্ট হাউসকে করোনা পরিস্থিতিতে কোভিড সেন্টার করা হয়েছে। সেখানেই চলছে কোভিড সংক্রমিত কর্মীদের চিকিৎসা। সংক্রমিতদের মধ্যে তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
তথ্য বলছে, গত জুলাই মাসে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের দর্শনে সারা দেশ থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ তিরুপতি মন্দিরে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু সারা দেশেই যখন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন মন্দির খোলার যৌক্তিকতা কি?
টিটিডি-র একজিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, গত ১১ জুন থেকে সরকারের কোভিড গাইডলাইন মেনে দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খোলা হয়েছিল। তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মন্দির খোলার সিদ্ধান্তে তখন সবাই সমর্থন করেছিল। এখন সংক্রমণ ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রতিটি গণমাধ্যম শুধু টিটিডি-র দিকে আঙুল তুলছে। অভিযোগ করছে, অর্থ রোজগারের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েছিল তিরুপতি ট্রাস্ট। কিন্তু মন্দির দর্শনে যে অর্থ রোজগার হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের সুরক্ষা প্রদানে, বলেন অনিলকুমার সিংহ।
জুলাই মাসে তিরুপতি মন্দিরের পুরোহিত, কর্মী-সহ ১৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছিল। সারা দেশে যখন সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে, সেই সময় মন্দির খোলাতেই সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়েছে বলে অন্ধ্র পুলিশের দাবি। কিন্তু কোনও দর্শনার্থী করোনা সংক্রমিত হননি, এই যুক্তিতে মন্দির বন্ধ করা যাবে না বলে জানানো হয় কর্তৃপক্ষের তরফে।
এখন সমালোচনার মুখে টিটিডি ট্রাস্টের দাবি শুধু মন্দির খোলাই কারণ নয়, অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে একা মন্দির ট্রাস্টকে দায়ী করা অযৌক্তিক।
Comments are closed.