বিজেপি নেতা হিসেবে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে প্রথম সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভার আগেই সদ্য তৃণমূলত্যাগী মন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করল তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংসদ সৌগত রায়ের খোঁচা, শুভেন্দুর নিজস্ব কোনও গড় আছে বলে স্বীকার করি না। বিজেপি নেতা হিসেবে শুভেন্দু কেন তাঁর প্রথম সভা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে করলেন না সেই প্রশ্ন তোলেন সৌগত। তাঁর কথায়, একটি সাম্প্রদায়িক দলে নাম লেখানোয় শুভেন্দুর তীব্র নিন্দা করেছেন নন্দীগ্রামে এক শহিদের মা ফিরোজা বিবি। যে নন্দীগ্রামের বিধায়কের পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু, যে পূর্ব মেদিনীপুরকে শুভেন্দু-গড় বলা হয় কেন প্রথম সভা তিনি সেখানে করলেন তা নিয়ে খোঁচা দিল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন ফিরোজা বিবি। পরে সেখান থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হন শুভেন্দু। কিন্তু বিজেপি নেতা হিসেবে মুসলিম অধ্যুষিত নন্দীগ্রামে কেন সভা করলেন না শুভেন্দু, সেই দিকেই কি নিশানা করলেন সৌগত রায়েরা? উঠছে প্রশ্ন। শুভেন্দু প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, বিজেপির অনেক মুখের মধ্যে শুভেন্দু একজন। তাঁর আলাদা কোনও গুরুত্ব বা গড় আছে বলে মনে করে না তৃণমূল। তারপরেই সৌগত রায়ের কটাক্ষ, পূর্ব বর্ধমানের শুভেন্দুর সভায় কত লোক হয় দেখব। তিনি এও জানিয়ে দেন, বুধবারই শুভেন্দুর জন্মস্থান পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন তিনি ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু ওই সভায় কি শুভেন্দুর পরিবারের কেউ থাকবেন? শুভেন্দুর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী কিংবা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী থাকবেন কি না তা নিয়ে কোনও উত্তর দেয়নি তৃণমূল। তবে সেই সভা থেকে যে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করবে তাঁর প্রাক্তন দল, তা বলাই যায়।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি সৌগত। তৃণমূল সরকারের দুয়ারে সরকারের কটাক্ষ করায় দিলীপকে তাঁর কটাক্ষ, উনি একজন মত্ত ষাঁড়, যাঁকে পারছেন গুতোচ্ছেন। বিজেপিকে শতছিদ্র পার্টি বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় সৌগতকে।
Comments are closed.