৫৭ ভোটে হেরেছিলেন, উপনির্বাচনে জিতলেন ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫ ভোটে। ৪ কেন্দ্রের প্রার্থীদের মধ্যে তিনি ফার্স্ট বয়। বড় ব্যবধানে জয়ের নিরিখে সারা দেশেও রেকর্ড গড়েছেন উদয়ন গুহ। মহারাষ্ট্রের অজিত পাওয়ারের পরেই তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। একই সঙ্গে দিনহাটার উপনির্বাচনের ফলাফলে আরও এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৬ বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অশোক মণ্ডলের কাছেই হেরেছিল উদয়ন গুহ। আর মজার বিষয়, সেই সময় অশোক মণ্ডল তৃণমূলের প্রতীকে লড়ে তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়ে ছিলেন। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মন্তব্য, ব্যক্তি নয় দলই যে বড় তা আবার প্রমাণিত।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক কমল গুহের পুত্র উদয়ন গুহ নিজেও দিনহাটার অবিসংবাদিত নেতা। সেই উদয়ন গুহই ২০০৬ সালে তৃণমূল প্রার্থী অশোক মণ্ডলের কাছে পরাজিত হন। উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক ছিলেন অশোক। ২০০৬ এরপরে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দুরত্ব বাড়তে থাকে। পরে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আর উদয়ন গুহ ২০১১ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিনহাটার বিধায়ক হন। ২০১৬ সালেও তাঁর জয়ের ধারা বজায় থাকে। তবে একুশের নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিকের কাছে মাত্র ৫৭ ভোটে হেরে যান তিনি।
আর উপনির্বাচনে তিনি মুখোমুখি হলেন অশোক মণ্ডলের। তৃণমূলের প্রার্থী থাকাকালীন যাঁর কাছে হেরেছিলেন উদয়ন। একপক্ষের মতে, একুশের উপনির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী হয়ে চলতি বছরের পাশাপাশি ২০০৬ হারেরও জবাব দিলেন উদয়ন, যদিও তাঁর হাতিয়ার ছিল সেই ঘাসফুল প্রতীকীই। ২০০৬ সালে যে প্রতীকের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তাঁকে। আর এসব দেখেই তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থী যে হোক, ফ্যাক্টর যে সেই ঘাসফুলই তা আরও একবার এই উপনির্বাচনে প্রমাণিত।
Comments are closed.