নিয়োগ দুর্নীতি, ইডি, সিবিআই তলব, নেতা কর্মীদের গ্রেফতারি সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে বিরোধীরা ধারাবাহিকভাবে সরব হয়েছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট ঘোষণার পরেও হাইকোর্টে একের পর এক মামলায় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। কিন্তু এসব কোনও কিছুই প্রভাব পড়ল না পঞ্চায়েতের ব্যালট বক্সে। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল গ্রামের মানুষের সিংহভাগের রায় তৃণমূলের পক্ষে। ভোটের হিসেবে প্রায় ৫১%। যা একুশের বিধানসভা ভোটের থেকেও কিছুটা বেশি।
আসনের নিরিখে ২০টি জেলা পরিষদের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে ২৫৪ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ২৪২টিতে। এছাড়াও মোট ২,৬৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত জিতেছে তৃণমূল। বিজেপির দখলে ২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ত্রিশঙ্কু হয়েছে ২০৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত।
ভোটের শতাংশের হিসেবে দেখা যাচ্ছে বিজেপি পেয়েছে ২২.৮৮ শতাংশ। একুশের বিধানসভায় তুলনায় অনেকটাই ভোট কমেছে গেরুয়া শিবিরে। এদিকে সিপিএমের প্রাপ্তি ১২.৫৬% এবং কংগ্রেসের ৬.৪২ শতাংশ। একত্রে করলে যা বিজেপির কাছাকাছি। আর এখানেই বাম কংগ্রেস জোটের দাবি তারা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। জোটের যুক্তি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ এবং বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ও জোট শরিকদের ভোট যোগ করলে তা বিজেপির থেকে অনেকটাই বেশি হবে। আর এই কারণেই তারাই দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী বলে দাবি করছে জোট।
Comments are closed.