‘দিদিকে বলো’র পর তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ৩ দফায় ৭৫ দিন ধরে চলবে রাজ্যজুড়ে

‘দিদিকে বলো’র সাফল্যের পর ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে নতুন কর্মসূচির সূচনা করল রাজ্যের শাসকদল। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে এই নয়া কর্মসূচিকে একই ভাবে সফল করতে নেতা-কর্মীদের ডাক দিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর ঘোষণা, যে ভাবে একটা ফোন নম্বরের সাহায্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি বাংলার সাড়ে আট হাজার গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা, মানুষের অভাব, অভিযোগ, ক্ষোভ, প্রশংসার কথা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করেছেন দলকে, সে ভাবেই নতুন কর্মসূচিতে গ্রামে গ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর দলের সংগ্রাম ও ইতিহাসের কথা তুলে ধরতে হবে। অভিষেকের কথায়, মমতা ব্যানার্জি বাংলার গর্ব। তাঁর লড়াই ও সংগ্রামের কথা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি জানান, এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির অধীনে এই ভিডিয়ো ধাপে ধাপে প্রচার করতে হবে। মোট ১১ টি ধাপে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হবে এই কর্মসূচিতে।
৭৫ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২ মার্চ থেকে, চলবে ১০ মে পর্যন্ত। ১৫ হাজার জনবসতিতে যাবেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মোট তিনটি পর্যায়ে এই কর্মসূচি ভাগ করা হয়েছে। ৭ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে থাকছে তৃণমূল কর্মী সম্মেলন, ‘জলযোগ যোগাযোগ’ এবং স্বীকৃতি সম্মেলন। ৮ থেকে ১৪ মার্চ ‘জলযোগ যোগাযোগ’ কর্মসূচিতে দলীয় নেতৃত্ব ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। ১৫ মার্চ স্বীকৃতি সম্মেলনে দলের ১০ হাজার পুরনো কর্মীদের সংবর্ধনা ও সম্মান জানানো হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল বঙ্গধ্বনি যাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রচার করবে তৃণমূল। তারপর ১৪ এপ্রিল থাকছে সংহতি সভা, যেখানে তফসিলি জাতি ও উপজাতির প্রভাবশালী নেতাকে চিহ্নিত করে সম্মান প্রদান করা হবে এবং ১৯ এপ্রিল ‘চেতনা সভা’য় তৃণমূল নেতৃত্ব ও তফসিলি জাতির ৫০ হাজার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
এরপর তৃতীয় পর্যায়ে বাংলার বার্তা, নবীন বরণ সভা, তৃণমূল পদাতিক সভা ইত্যাদির মাধ্যমে ৭৫ দিনের এই কর্মসূচি শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির অপ্রত্যাশিত উত্থানের পর ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পি কে) হাত ধরে শুরু হয় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। গত বছরের জুলাই মাস থেকে এই কর্মসূচির নজরকাড়া সাফল্যের পর ফের পি কে-র মস্তিষ্কপ্রসূত আরও এক কর্মসূচি নিয়ে এল তৃণমূল। দলনেত্রী বলেন, শুধু বক্তব্য শুনে চলে গেলেই চলবে না, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যেন ভালোভাবে বুঝে-শুনে নয়া প্রকল্পের সাফল্য আনতে বদ্ধপরিকর হন।

Comments are closed.