তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক। এবার কলকাতায় কংগ্রেস ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। বুধবার কংগ্রেস নেতা ইমরান আহমেদ, আজাহার খানের নেতৃত্বে কমপক্ষে ১৫০ জন কংগ্রেস নেতাকর্মী দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে স্বাগত জানান তৃণমূলের উত্তর কলকাতা যুব সভাপতি এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কিশোর রাউত।
২১ জুলাই শহিদ দিবসে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের দলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলছে পুরনো নেতাদের ‘ঘর ওয়াপসি’। তেমনি সদলবলে বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারাও চলে আসছেন তৃণমূলে। এবার খাস কলকাতায় কংগ্রেসের প্রায় দেড়শো কর্মী এলেন তৃণমূলে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আরও বহু মানুষ তৃণমূলে আসছেন।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগেই ধারাবাহিকভাবে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের একাধিক জেলায় কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। চলতি সপ্তাহেই প্রায় কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। মঙ্গলবার মালদহের কালিয়াচক থানার বামনগ্রাম-মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ২০০ নেতাকর্মীর যোগদান করেছেন তৃণমূলে। বুধবার খড়গপুরের মালঞ্চতে কংগ্রেসের রাজ্য মহিলা প্রেসিডেন্ট হেমা চৌবে ও খড়গপুর টাউন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দেবাংশু গাঙ্গুলি সদলবলে তৃণমূল যোগ দেন। পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে বিজেপির পুরো মণ্ডল কমিটিই মিশে গিয়েছে তৃণমূলে।
এছাড়া হাওড়ায় কংগ্রেসের অন্তত চারশো কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি শাসক দলের নেতাদের৷ তার আগে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরেন দক্ষিণ দিনাজপুরের হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্র। গত লোকসভা ভোটের পর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি বিধানসভার বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান সন্দীপ এক্কা সহ ১৪ জন বিজেপি নেতা তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
Comments are closed.