বিজেপি, কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। শহর কলকাতায় বহরে আরও বাড়ল তৃণমূল। উত্তর কলকাতা এলাকায় বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শতাধিক নেতাকর্মী।
শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের উত্তর কলকাতা জেলা যুব সভাপতি হারাধন সাহা সহ ১০০ জন কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে স্বাগত জানান তৃণমূলের উত্তর কলকাতা যুব সভাপতি অনিন্দ্য রাউত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরের তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষ। শুধু কংগ্রেসই নয়, এদিন অন্য একটি অনুষ্ঠানে ২৫ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা।
২১ জুলাই শহিদ দিবসে ক্ষোভ কিংবা অন্য কোনও কারণে অন্য দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের ঘরে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর থেকে জেলায় জেলায় চলছে পুরনো কর্মীদের ‘ঘর ওয়াপসি’। বিশেষ করে কংগ্রেস ও বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বুধবারই কলকাতায় কংগ্রেস ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। কংগ্রেস নেতা ইমরান আহমেদ, আজহার খানের নেতৃত্বে কমপক্ষে ১৫০ কংগ্রেস কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তার আগে মঙ্গলবার মালদহের কালিয়াচক থানার বামনগ্রাম-মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কংগ্রেস ছেড়ে ২০০ নেতাকর্মী যোগদান করেছেন তৃণমূলে। বুধবার খড়গপুরের মালঞ্চতে কংগ্রেসের রাজ্য মহিলা প্রেসিডেন্ট হেমা চৌবে ও খড়গপুর টাউন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দেবাংশু গাঙ্গুলি সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায় বিজেপির বাঘমুণ্ডি মণ্ডল কমিটি পুরোপুরি মিশে গিয়েছে তৃণমূলে। উত্তরবঙ্গেও বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন অনেকে। সম্প্রতি মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূল ভবনে এসে দলীয় পতাকা তুলে নিয়েছিলেন বিজেপিতে যাওয়া দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্র। একইভাবে আলিপুরদুয়ারেও বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বহরে বেড়েছে তৃণমূল।
Comments are closed.