শিক্ষানবিশ হয়ে বাংলা ঘুরুন, মমতার আমলে উন্নয়ন দেখে নিজের রাজ্যে প্রয়োগ করুন, বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমকে কটাক্ষ তৃণমূলের
যদি শিক্ষানবিশ হয়ে বাংলার উন্নয়ন দেখতে যান অসুবিধে নেই, তবে বাংলা জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখলে আপত্তি আছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের এই ভাষাতে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
বাংলা দখলে পাখির চোখ রেখে সংগঠন গোছাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। ভিন রাজ্যের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে বাংলার বিজেপি সংগঠন শক্ত করতে চাইছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলীয় নেতা বিশ্বজিৎ দেব।
তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে চন্দ্রিমার কটাক্ষ, যাঁরা বাংলা চেনেন না তাঁরা ২৩ টা জেলা, ৩৮ হাজার গ্রাম ও ৭৮ হাজার বুথ ঘুরে দেখুন। বাংলার উন্নয়ন দেখে নিজেদের রাজ্যে তা প্রয়োগ করুন। বাংলার উন্নয়নের সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘মমতার কাছ থেকে শিখতে হবে অন্যদের, ওনার শেখার কোনও জায়গা নেই।’
এদিন বাংলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে বিজেপি শাসিত গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশের তুলনা টানে তৃণমূল নেতৃত্ব। চন্দ্রিমার দাবি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলায় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৮ শতাংশ, গুজরাতে ৪.৩ শতাংশ। এরপরেই তাঁর খোঁচা, ‘গুজরাত মডেল’কে জায়গা করে দিতে আমরা কি বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেব? তিনি দাবি করেন, বাংলার হাসপাতালগুলির শয্যা সংখ্যা ৮৫ হাজার, গুজরাতে ২০ হাজার। মানুষ কোন মডেল চাইবেন? ৮০ হাজারের বদলে ২০ হাজার বেড? স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ থেকে খরচ, কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে হাসপাতালের উন্নয়ন, সব কিছুতেই বাংলা থেকে অন্যদের শেখার অনেক জায়গা আছে বলে দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে কটাক্ষ, শিক্ষানবিশ হিসেবে বাংলার উন্নয়ন পর্যবেক্ষন করে তা নিজেদের রাজ্যে প্রয়োগ করুন। কিন্তু বাংলায় পাখির চোখ রেখে তা জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখবেন না।
Comments are closed.