বিজেপির ‘হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, থানা ঘেরাও নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের
তৃণমূল নেত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট জানান, পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও, পুলিশ কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি
নন্দীগ্রামে ফিরল হার্মাদ! সেই হার্মাদ বাহিনীর হামলায় আহত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। এই অভিযোগে নন্দীগ্রাম থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন মমতা ব্যানার্জির ইলেকশন এজেন্ট শেখ সুফিয়ান সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বিজেপির ‘হার্মাদ’ বাহিনী তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে। অনেকেই আহত। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। বিক্ষোভস্থলে দেখা যায়, শেখ সুফিয়ানের পাশে এক তৃণমূল কর্মী হাতে প্লাস্টার নিয়ে বসে।
তৃণমূল নেত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট আরও জানান, পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও, পুলিশ কোনওরকম পদক্ষেপ নেয়নি। দোষীদের গ্রেফতার করার দাবিতে তৃণমূলের তরফে এদিন নন্দীগ্রাম থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।
নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি আগেই জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন, নন্দীগ্রামে বহিরাগত গুন্ডাদের ঢুকিয়ে অশান্তি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চ তৈরির জন্য কিছু লোক এসেছিলেন, তাঁদেরই দুষ্কৃতি হিসেবে দেগে দিচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, নেত্রী এবার বুঝেছেন নন্দীগ্রাম কঠিন ঠাঁই। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্যান্ডেলের কাজ করতে আসা লোকেদের ধরে নিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন মমতা। কিন্তু প্রশ্ন হল মোদীর সভায় কাজে গিয়ে ভিন রাজ্যের লোকেরা এতদিন পূর্ব মেদিনীপুরে কী করছেন?
তৃণমূলের তরফ থেকে এই নিয়ে কমিশনেও অভিযোগ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন- বামপন্থীদের ছোট ভুলকে বড় করে দেখবেন না, নিরুপম সেনের কেন্দ্রে বলছেন পৃথা]
১ এপ্রিল একুশের ভোটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোট। মাঝে বাকি আর ঠিক চারদিন। ভোটের মুখে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহল সরগরম।
কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে মমতা আহত হন। সেই ঘটনার জেরে, জেলার পুলিশ সুপার, এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে সরায় নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেয় কমিশন।
Comments are closed.