সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার অপসারণ চেয়ে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে তৃণমূল। সোমবার দুপুরে সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তুষার মেহেতার অপসারণ চেয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুখেন্দুশেখর রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়ান।
নারদ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী সলিসিটর জেনারেল তথা সিবিআইয়ের আইনজীবীর সঙ্গে কেন দেখা করলেন? এটা কি নারদ মামলায় গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা? এই প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। এমন কী দিল্লিতে শুভেন্দুকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন জবাব।
তারপর তৃণমূলের ৩ সাংসদ চিঠি লিখে তুষার মেহেতার অপসারণ দাবি করেন। তৃণমূলের দাবি, সেই চাপে পড়েই সাফাই দিতে হয় তুষার মেহেতাকে। তিনি বিবৃতি দিয়ে জানান, শুভেন্দু তাঁর বাড়িতে এসে চা খেয়েছেন, তবে তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখা হয়নি।বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুও কার্যত একই কথা জানান।
যদিও সাফাই মানতে চায়নি তৃণমূল। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। যদি তুষার মেহতা সত্যি কথা বলে থাকেন তাহলে বাসভবনে শুভেন্দুর উপস্থিতির সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে প্রমাণ দিন। অভিষেক ব্যানার্জি সহ তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী কনভয় নিয়ে এসজির সরকারি বাসভবনে হাজির হলেন কোনও আগাম অ্যাপোয়েন্টমেন্ট ছাড়াই? এই যুক্তিকে মোটেও বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছে না তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির পর এবার সরাসরি রাষ্ট্রপতি ভবনে দরবার করতে চলেছে তৃণমূল। এর জেরে সলিসিটর জেনারেলের উপর চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রপতির কাছে তুষার মেহেতার পাশাপাশি কি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও সরানোর দাবি জানাবেন তৃণমূল নেতারা?
Comments are closed.