জিতেই কাজে নেমে পড়লেন বালির বিধায়ক, করোনা সংক্রমিতদের পাশে ‘মায়ের প্রেরণা’
করোনা মোকাবিলা নিয়েও নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন রানা চ্যাটার্জি
সদ্য শেষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন তৃণমূলের। ৫ মে অনাড়ম্বরভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। শপথ নেওয়ার পরেই নতুন সরকারের প্রথম কাজ হিসেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলার কথা বলেছেন।
বালির নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক রানা চ্যাটার্জির উদ্যোগে বালি বিধানসভা কেন্দ্রে করোনা সংক্রমিত রোগী বাড়িতে কোনও ডেলিভারি চার্জ ছাড়াই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং অত্যাবশকীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে ‘মায়ের প্রেরণা’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ইতিমধ্যেই এই মর্মে নেটমাধ্যমে এলাকা অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবকদের ফোন নাম্বার শেয়ার করা হয়েছে। গৃহবন্দী অবস্থায় কোনও রোগী বা তাঁর পরিবার পরিজনেরা ফোন করলেই মিলবে পরিষেবা।
উদ্যোগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বললেন বালির বিধায়ক। রানা চ্যাটার্জি জানালেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগেও তিনি নিজেস্ব এনজিওর মাধ্যমে এরকম একাধিক কাজ করেছেন। আম্ফান থেকে শুরু করে লকডাউন সব ক্ষেত্রেই তাঁর এনজিও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছে। সেই সঙ্গে আরও জানালেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে এখন কাজ করতে আরেকটু বেশি সুবিধা হচ্ছে।
কথায় কথায় জানালেন, নন মেডিক্যাল টিমের পাশাপাশি আপৎকালীন সময়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য ডাক্তারদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিম তাঁরা তৈরি করেছেন। ডাক্তারবাবুদের নাম্বার শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হোম আইসোলেশনে থাকা কোনও রোগী ওই নাম্বারে ফোন করে বিনামূল্যে জরুরি পরামর্শ নিতে পারবেন।
করোনাকালে সিপিএমের উদ্যোগে রেড ভলেন্টিয়ার্সরা করোনা রুগীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে সেই ছবি। বালিতেও রেড ভলেন্টিয়ার্সরা কাজ করছেন। বিধায়ক রানা চ্যাটার্জি সিপিএমের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে জানালেন, এই মুহূর্তে এটাই কাম্য। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে আমাদের সকলের একসঙ্গে সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
করোনা মোকাবিলা নিয়েও নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন। বললেন, এখন সর্বত্র অক্সিজেন সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাঁর পরিকল্পনা নিজের কেন্দ্রে কিছু অক্সিজেন পার্লার শুরু করা, যাতে অক্সিজেনের অভাব কিছুটা মেটাতে পারেন।
রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার নেমেই বিধায়ক। জানালেন তিনি আশাবাদী ছিলেন জয়ের ব্যবধান আরও একটু বাড়বে। সেই সঙ্গে ভোটের ফলাফলের পরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর উঠে আসছে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বললেন, আমাদের দলনেত্রী আগেই বলেছেন।
বালি বিধানসভাতে বিজেপির অভিযোগ তাদের কর্মীরা আক্রান্ত। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শিশু চিকিৎসক এবং বর্তমান বিধায়কের মন্তব্য, বালিতে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও ঘটেনি। যেটুকু হয়েছে তা ভোটের পরে বলে নয় আগেও হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Comments are closed.