বাংলা নিজের মেয়ে মমতাকে চায়, ভোটমুখী বঙ্গে প্রচারে ঝড় তুলতে তৈরি তৃণমূল
ভোটের মুখে তৃণমূলের নয়া স্লোগান
শনিবার একুশের ভোটের নতুন স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ প্রকাশ করল তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী ইতিমধ্যেই বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি জনসভা থেকে সুর চড়াচ্ছেন। নতুন স্লোগানে এবারে সেই ইস্যুতেই আরো জোর দিয়ে ভোট যুদ্ধে ঝাঁপাতে চলছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে বাংলার নারী সমাজে মমতার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। রাজ্যের কার্যত অর্ধেক জনসংখ্যা নারীদের। ২০১১ সাল থেকেই মমতা ব্যানার্জি ধারাবাহিক ভাবে নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এগিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহল বলছে, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মত সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বঙ্গ তনয়াদের তৃণমূলের প্রতি সমর্থন আরও বেড়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাড়ির মহিলাদের।
[আরও পড়ুন- লাল ব্রিগেডে ছাত্র-যুবদের টানতে সিপিএমের হাতিয়ার টুম্পা সোনা!]
তৃণমূল নেতারাও মমতার আমলে বাংলায় নারী ক্ষমতায়নের কথা ঘোষণা করেন মিটিং মিছিলে। সবদিক বিচার করে বাংলার নারীদের আরও কাছে পৌঁছতে তৃণমূলের এই নয়া স্লোগান বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিন এই স্লোগান প্রকাশের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মমতা ব্যানার্জির হাতেই সুরক্ষিত। তৃণমূলের আরেক বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখার্জি বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে অন্যান্য কাজের মধ্যেও মমতা ব্যানার্জি বাংলার মেয়েদের অগ্রাধিকার দেন। বাংলার মেয়েদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জির ভূমিকা অনবদ্য।
এর আগে ২০০৬ সালে মমতা স্লোগান তুলেছিলেন হয় এবার নয় নেভার। ২০১১ সালে বদলা নয় বদল চাই স্লোগানকে হাতিয়ার করে ভোট যুদ্ধে ঝাঁপিয়েছিলো তৃণমূল। ফলাফল সবার জানা। এক দশক পর তৃণমূল আবার নেমেছে ক্ষমতা ধরে রাখতে। এবার প্রতিপক্ষ বিজেপি, বাম-কংগ্রেস জোট। এই দ্বিমুখী আক্রমণ মোকাবিলায় এবার তৃণমূলের হাতিয়ার ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’।
Comments are closed.