রাজনীতিতে তাঁর উত্থান উল্কা সম। কয়েক মাস আগে একটি টিভির অনুষ্ঠানে কিছু মন্তব্য, সেই নিয়ে বিজেপির আক্রমণ, তৃণমূল নেত্রীকে পাশে পাওয়া এবং একুশের নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী। বর্তমানে তিনি যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। মাঝে মাত্র কেটেছে কয়েকটা মাস।
দায়িত্ব পেয়েই সোমবার তৃণমূল ভবনে যান সায়নী ঘোষ। প্রবেশের মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, এখন থেকে পুরোদস্তুর দলের কাজই করবেন। সেই সঙ্গে বললেন, আজকে তাঁর প্রথম দিন। কিছু দিনের মধ্যে সমস্তটা বুঝে নিয়ে কাজে ঝাঁপাবেন। ইতিমধ্যেই যুব তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সবার সঙ্গেই দেখা করে কথা বলবেন বলে জানালেন। পাশাপাশি তিনি বললেন, আর কয়েকদিনের মধ্যেই যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির মিটিং ডাকা হবে। ওই বৈঠকে থেকেই আগামী কর্মসূচি নির্ধারণ।
একুশের নির্বাচনে অনেকগুলি চমকের মধ্যে অন্যতম চমক ছিল সায়নী ঘোষ। কয়েক মাসের ব্যবধানেই সিনে দুনিয়া থেকে সটান রাজনীতির মঞ্চে। আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূল তাঁকে পার্থী করে। ভোটে হারলেও মাটি কামড়ে থেকে তাঁর লড়াই নজর কেড়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
লড়াইয়ের পুরস্কার স্বরূপ যুব তৃণমূলের মত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের শীর্ষে তাঁকে বসিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। যুব সভানেত্রী পদে আসীন হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন এখন থেকে তিনি পুরো সময়টা রাজনীতিই করবেন।
Comments are closed.