আবার ফিরে এসেছে রক্তাক্ত দিনের স্মৃতি। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। দেশবাসীর কাছে এই দিন ‘কালা দিবস’। ২০১৯ সালে পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপিএফ কনভয়ে গাড়ি বোমা হামলা চালায় জঙ্গীরা। নিহত হন প্রায় ৫০ জন জওয়ান। আহত হন আরও অনেক জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে জইশ ই মহম্মদ।
এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ। পাক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহার এবং তাঁর ভাই রউফ আসগারের নাম উঠে আসে তালিকায়। পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত আরডিএক্স পাকিস্তান থেকেই এসেছিল সেই প্রমাণ পেশ করে এনআইএ। যদিও হামলার পরেই পাকিস্তান এই ঘটনার দায় অস্বীকার করে। জইশের কম্যান্ডার ওমর ফারুক উপর পুরো হামলার তত্ত্বাবধানে ছিল।
হামলায় নিহত শহীদ জওয়ানদের মৃতদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করার পর একটা বিশেষ বিমানে নিয়ে আসা হয় গাজিয়াবাদের হিনডন এয়ারবেসে। সেখান থেকেই তাঁদের মৃতদেহ পাঠানো হয় তাঁদের নিজ নিজ বাড়িতে। মৃত জওয়ানদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ছিলেন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। পাঞ্জাবের ৪ থেকে ৫ জন। অন্যান্য রাজ্য থেকে ছিলেন ১ থেকে ২ জন। এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, জওয়ানদের এই আত্মবলিদান বিফলে যাবে না।
বিফলে যায়নি শহিদদের আত্মত্যাগ। আজও সেনা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি। শহিদদের স্মৃতিচারণ ও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করছে দেশবাসী।
Comments are closed.